প্রকাশিত: ৩০/১০/২০১৮ ৮:১০ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, জঙ্গি অর্থায়ন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের তদন্ত বিভাগ। রবিবার রাতে রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফজলুল হক রিকাবদার, হুমায়ুন কবীর, আশরাফুল হক, আসগর হোসাইন, শেখ শাহজাহান কবীর, মনিরুল ইসলাম, আব্দুর রউফ ও আল মামুন খন্দকার।
একই কর্মকা-ে জড়িত কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের জামায়াতের সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, হবিগঞ্জের মোস্তাক আহমেদ খাঁসহ আরও ১৮ জন পলাতক রয়েছেন বলে দাবি করেছে সিআইডি।
সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, দলটির সাবেক নায়েবে আমির ও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালে মৃত মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ পরিচালিত তিনটি এনজিওর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের ধর্মীয় উগ্রগোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ এনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচারের কাজে ব্যয় ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে রামনা
থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, ১৯৭৭ সালে ‘বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ এটির প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় কার্যক্রম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠির মাধ্যমে লিখিতভাবে অবহিত করা হতো। ২০০৭-১৮ সাল পর্যন্ত এনজিওটির অ্যাকাউন্টে ৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশি অনুদান জমা হয়। পরবর্তীতে ‘নব কৃষি প্রাইভেট লিমিটেড’ ও ‘নবধারা কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে আরও দুটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করা হয়।
অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট বলছে, পলাতক মোস্তাক আহমেদ খাঁ ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে তুরস্কের ধর্মীয় উগ্রগোষ্ঠী থেকে অর্থ এনে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় জঙ্গিবাদ বিস্তারে অর্থায়ন করেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নবধারা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ঢাকা অফিস থেকে সংস্থাটির নির্বাহী কর্মকর্তা হাসানুল বান্না ও কর্মচারী ইসমাইল হোসেনকে জঙ্গিবাদ প্রচারের কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গ্রেপ্তার করে। সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাসউদকে নিয়োগ দিয়ে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করেছে।
অর্গানাইজড ক্রাইমের একজন কর্মকর্তা বলেন, হামিদুর রহমান আযাদের নির্দেশে ‘বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি’র অ্যাকাউন্ট থেকে ৪২ লাখ টাকা ‘নব কৃষি প্রাইভেট লিমিটেডে’ স্থানান্তর করা হয়। একইভাবে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট আরও ১০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। চাষী কল্যাণের সমিতির নামে তারা অধিকাংশ বিদেশি অনুদান সংগ্রহ করলেও তা চাষীদের কল্যাণে ব্যয় না করে তাদের ইচ্ছামতো মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণে কিছু অংশ ব্যয় করেন এবং অবশিষ্ট টাকা দেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচারণার কাজে ব্যয় করেন। তবে সিআইডির অভিযোগের বিষয়ে জামায়াত ও ওই তিন এনজিওর কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...