প্রকাশিত: ১৫/১০/২০১৯ ৫:২১ পিএম

দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত এলাকা থেকে আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার আসামি নাজমুস সাদাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি, ডিএমপি) একটি দল। আলোচিত হত্যা মামলার আসামি নাজমুস সাদাত ওই এলাকার ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের একটি এনজিওর কর্মী পরিচয়ে এলাকায় বসবাস করছিল। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার কাটলা বাজারে ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ থেকে বিরামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।

আটক নাজমুস সাদাত জয়পুরহাট কালাই উপজেলার উত্তর পাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানে ছেলে। সে বুয়েট যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং আবরারের হত্যার পর থেকে পলাতক ছিল। বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

বিরামপুর থানার ওসি বলেন, থানা পুলিশের সহায়তায় ডিএমপির ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর কাটলা বাজারের রফিকুল ইসলামের পরিচালিত ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের একটি এনজিওতে অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে নাজমুস সাদাতকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নেওয়া হয়।

‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ এর ম্যানেজার মো. লিটন হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, গত কয়েক দিন আগে জয়পুরহাট জেলার সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিজের ভাগিনা পরিচয়ে নাজমুস সাদাতকে রেখে যান। সে হত্যা মামলার আসামি এটা আমরা জানতাম না।

ম্যানেজার লিটন জানান, সাবেক ওই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ এর পরিচালক রফিকুল ইসলামের পরিচিত।

স্থানীয় কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, আলোচিত হত্যা মামলার আসামি নাজমুস সাদাত ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ এর কর্মী পরিচয়ে লুকিয়ে ছিলেন। সে একজন হত্যা মামলার আসামি এ বিষয়ে আমরা জানতাম না। এ বিষয়ে জানতে ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ এর পরিচালককের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পাঠকের মতামত