প্রকাশিত: ২৭/০৫/২০১৭ ১০:০৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:২৯ পিএম
সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার আবুল মনজুর

সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া নিউজ ডটকম::


সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার আবুল মনজুর

 

উখিয়ার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আবুল মনজুরের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী,বয়স্ক ও বিধবা ভাতা সহ শিক্ষকদের বেতন তোলার ক্ষেত্রে কমিশন বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়তার প্রভাব বিস্তার করে আবুল মনজুর দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে শুধু গ্রাহকদের হয়রানীর অভিযোগ নয়, সোনালী ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তার বেপরোয়া আচরনে। যার ফলে রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানা গেছে, গত ১ বছর পুর্বে উখিয়া সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে উপজেলার উপকুলীয় এলাকা মনখালীর ছেলে আবুল মনজুর যোগদান করেন। স্থানীয় ছেলে সোনালী ব্যাংকে যোগদান করায় এলাকায় জনগনের মাঝে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্ত কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে আবুল মনজুর। ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারীরা তার এহেন কার্যকলাপে সমর্থন না করলেও তিনি কাউকে পরোয়া করেনি। কারন স্থানীয় ছেলে হিসেবে স্থানীয়তার প্রভাব বিস্তার করায় ব্যাংকের অন্যন্যরা মুখ খোলার সাহস করেনি। সময়ে অসময়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও তার হাতে নাজেহাল হয়েছে। এছাড়াও গ্রাহক হয়রানী,বয়স্ক ও বিধবা ভাতা সহ শিক্ষকদের বেতন তোলার ক্ষেত্রে কমিশন বানিজ্যের কারনে রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংকটিতে আস্থার সংকট পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার মের্সাস আবছার ট্রের্ডাসের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আবছার তাঁর ব্যবসায়িক একটি কনস্ট্রাকশনের বিল নিয়ে গেলে ম্যানেজার আবুল মনজুর তার সাথে চরম দূর্ব্যবহার করে এবং বিল নিতে তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকার ঘুষ দাবী করে। এ সময় ম্যানেজারের নিকট আত্বীয় উত্তর হলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মুজিব গ্রাহক আবছারকে নাজেহাল করে। উক্ত শিক্ষক মুজিবের বিরুদ্ধেও রয়েছে উখিয়া শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী বশির আহমদকে মারধর করার অভিযোগসহ তার পুর্বে কর্মস্থল মরিচ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক/শিক্ষিকা নাজেহালের অভিযোগ। এ ব্যাপারে গ্রাহক আবছার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,শুধু নোংরা আচরণ নয়, আমার নিকট থেকে ব্যাংক ম্যানেজার ২ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেছে। একই ভাবে উখিয়া পোস্ট অফিসের সাবেক পোস্ট মাষ্টার (বর্তমান হ্নীলা) জসিম উদ্দিনও ম্যানেজার আবুল মনজুরের হাতে নাজেহাল হয়েছে। জসিম জানান, আমি আমার শ^াশুরের পেনসনের টাকা উত্তোলন করতে গেলে এই ব্যাংক ম্যানেজার আবুল মনজুর আমার সাথে এবং আমার শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সাথে খারাপ আচারণ করে। ইতিপূর্বে বয়স্ক ভাতা নিতে এসেও হয়রানির শিকার হয়েছে অনেকে। উপকুলীয় এলাকা ছেপটখালীর বদিউর রহমান (৬৮), রশিদ আহমদ (৭০) জানান, সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার বয়স্ক ভাতা নিতে আমাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩শ’ টাকা করে দাবী করেছে। সুত্রে আরো জানা গেছে, সাগরপথে মানব পাচারকারী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত গডফাদার আবুল কালামের ভাই হচ্ছে সোনালী ব্যাংকের এই ম্যানেজার আবুল মনজুর। ইতিপূর্বে মানবপাচারের সমস্ত টাকা লেনদেন হতো সোনালী ব্যাংক থেকে তাঁর ভাইয়ের হাত ধরে। কিন্তু দুদকের তৎপরতায় কয়েক মাস পুর্বে মানবপাচারকারী আবুল কালাম তাঁর ব্যাংক একাউন্ট ক্লোজ করে দেওয়া হয়েছে বলে সুত্রে নিশ্চিত করেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজার আবুল মনজুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আমি ব্যাংকের নিয়মের মধ্যেই সব কিছু করার চেষ্টা করি। তাই অহেতুক আমার বিরুদ্ধে সবাই মিথ্যাচার করছে।

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...