প্রকাশিত: ১৩/১২/২০১৮ ১০:৫৩ এএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে তেমন শঙ্কা নেই, তবে আছে উত্তাপ ও উত্তেজনা। প্রার্থী সমর্থক ও ভোটারদের মাঝেও আগ্রহ উদ্দীপনার কোনো কমতি নেই। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বইছে নির্বাচনী আমেজ। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ থাকলেও আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এমপি পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্ষমতাসীন দলের নৌকার হাল ধরেছেন এমপি আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার ও বিএনপির ধানের শীষের শাহজাহান চৌধুরীর মধ্যে হওয়ায় এইবার অনেকেই বোঝাপড়ার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেবেন বলে মত দিচ্ছেন। একদিকে বর্তমান সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা ভাবছেন অন্যদিকে গুম, খুন ও নৈরাজ্যের কথা মাথায় রাখছেন ভোটাররা। এখনো এখানে কোনো শঙ্কা না থাকলেও ভবিষ্যতে কোনো অঘটন হবে না তা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রত্যেক ভোটার আশা করছেন, নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকবেন এবং আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব এই প্রত্যাশা সকলের। নতুন ভোটার জাফর আলম বলেন, কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের রাজধানী ঢাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। আন্দোলনরত ছাত্রদের কারা মেরেছে তা যেমন মনে রেখেছে তেমনি তরুণদের হাতে স্মার্ট ফোনসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাদের অবদান রয়েছে তাও সকলে জানে। আমাদের তরুণদের ভোট এবার নিরব বিপ্লব ঘটাবে। সচেতন নাগরিকদের মতে, একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উখিয়া-টেকনাফে নৌকা ও ধানের শিষের লড়াই উভয় পক্ষের জন্যই মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। রাজনীতিতে নবীণ সরাসরি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ভাগ্যবান মেয়ে শাহীন আক্তার। অপরদিকে চারবারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শাহজাহান চৌধুরী। এই ভোটে উখিয়া-টেকনাফবাসী কাকে বেছে নিচ্ছেন এটাই এখন দেখার বিষয়। প্রবীণ মুরব্বি খাইরুল বশর বলেন, এই নির্বাচন চেয়ারম্যান মেম্বারের নয়, এটি জাতীয় নির্বাচন। এখানে যোগ্য ব্যক্তিকেই তিনি ভোট দেবেন বলে জানান। শিক্ষাবিদ জানে আলম বলেন, জয়-পরাজয় যা-ই হোক রোহিঙ্গাদের কারণে এই আসনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখতে বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাধর নেতারা এখানে আসবেন। তাদের সাথে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি আমাদের স্থানীয়দের সমস্যার কথা তুলে ধরার মতো যোগ্য নেতাকে আমরা এবার বেছে নিব। যে সংসদে গিয়ে আমাদের কথা বলার মতো সাহস ও যোগ্যতা রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া উখিয়ার ছেলে মনোয়ারুল মোস্তফা বলেন, বিশ্বের সেরা পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু মরণ নেশা ইয়াবার কারণে আমাদের লজ্জা পেতে হয়। মাদক মুক্ত সমাজ বিনির্মাণে যিনি ভূমিকা রাখতে পারবেন তাকেই এবার আমার জীবনের প্রথম ভোটটি দেব। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া উখিয়া কোটবাজারের ছেলে সালমান নাদির বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবারও নৌকায় ভোট দেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। কৃষিবিদ বদিউল আলম বলেন, এই নির্বাচনের ফল যা-ই হোক, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হওয়া সব দলের জন্য জরুরি। কারণ এই নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আগামী দিনের সুন্দর পথ চলা সুগম হবে।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...