প্রকাশিত: ২৫/০১/২০২১ ৯:১৭ এএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
উখিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তেমন একটা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ধীরে ধীরে করোনার কথা ভুলতে বসেছেন এখানকার মানুষেরা। মাস্ক ব্যবহারেও অনীহা দেখা দিয়েছে। এরপরও সরকারি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কড়াকড়ি আরোপ করতে দেখা গেছে। বার বার বলার পরও যারা মাস্ক পরতে অনীহা দেখিয়ে আসছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কঠিন সাজা দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে হুঁশিয়ার করেছে সরকার। করোনা সংক্রমণ না বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আফিয়া জাহান রশনী বলেন, মানুষকে সচেতন করতে হবে, পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানাতে বাধ্য করতে হবে। কারণ করোনা ছাড়াও মাস্ক ব্যবহার করলে ধুলো-বালিসহ বায়ুবাহিত রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। তাই মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। গেল মার্চে দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের পর প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। উখিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। করোনায় উখিয়াতে অনেকে মারা গেছেন। এখন আবার করোনা সংক্রমণের রোগীর সংখ্যা একেবারে কমে যাওয়ার ফলে অর্থনীতি চাঙ্গা ভাব দেখা দিয়েছে। প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির নেতা সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ
সিকদার বলেন, মানবতার শহর উখিয়া। এখানে লাখ লাখ মজলুম রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের ফরিয়াদ এবং এখানকার ধর্মভীরু মানুষের দোয়ায় উখিয়ার মানুষকে আল্লাহ অনেক ভাল রেখেছেন। পাকিস্তান তো পারেনি, ভারত পারছে না। রোজ রোজ সংক্রমণ বাড়ছে, কাজেই এ বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতি আছে, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি মনিটরিং করছেন। আমার মতে মানুষের চলা ফেরায় মাস্ক ব্যবহারটা একেবারেই বাধ্যতামূলক করা দরকার।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে জানুয়ারি-মার্চ /২০২১ প্রান্তিকে জনসচেতনতামূলক সড়ক প্রচার করছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও কক্সবাজার জেলা তথ্য অফিস।

পাঠকের মতামত