প্রকাশিত: ১৭/১০/২০১৯ ৯:৪৬ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক যেন এখন নরকপুরি। সড়কের আশে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা কাটা গাছের গোড়ালী, ডালপালা, খোরাখুরি, ধূলাবালিতে জনজীবন বিপর্যস্থ। সড়ক ও জনপদ বিভাগ ৪৮০ কোটি টাকা ব্যায় বরাদ্ধে সড়ক সম্প্রসারনের নামে দীর্ঘ সূত্রিতায় এখন সড়কে অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে বলে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ।

উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন আল রশিদ ও উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন সিরাজি অভিযোগ করে জানান, প্রতিষ্ঠানের সামনে গাছ কেটে ৬/৭ দিন ফেলে রাখার কারনে কচি কাচা ছাত্রছাত্রীদের ঝুকি নিয়ে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। যানবাহন চলাচলের ফলে খানা খন্দকের ধুলাবালি বাতাসের সাথে মিশে শিক্ষার্থী ও সাধারন পথচারীর নাকে মুখে ঢুকে পড়ছে বলে প্রতিয়মান হয়। এ সম্পর্কে উখিয়া উপজেলার স্বাস্থ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মান্নান তার ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, রাস্তার ধূরাবালি নাকে মূখে ঢুকে পড়লে স্বাস্থের পক্ষে মারাত্বক ক্ষতি সাধন হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা যাওয়ার সময় মাক্স পড়ার পরামর্শ দেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের পর মিয়ানমার থেকে ধেয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা দিতে গিয়ে এনজিওদের ব্যবহৃত ভারি যানবাহন চলাচল করেছে নির্বিচারে। ১০টন ওজনের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের জন্য তৈরি করা সড়কে ২৫টন ওজনের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে । যে কারনে সড়কের বিভিন্ন অংশে খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়ে অচল অবস্থার কারন হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক উক্ত সড়ক সম্প্রসারন করার জন্য ৪৮০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলে গত বছরের ডিসেম্বরের কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়ক সম্প্রসারনে প্রক্রিয়া শুরু করেন। লিংখ রোড থেকে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার ও উখিয়া ফায়ার সার্ভিস থেকে টেকনাফের উংচিপ্রাং পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারসহ মোট ৫০ কিলোমিটার পূর্বের ১২ ফুট প্রস্থের সড়ককে ২৪ ফুটে রুপান্তর করার জন্য যথাসময়ে ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ দিলেও সংশ্লিস্ট ঠিকাদার যথাসময়ে কাজ শুরু করেননি।

বর্ষার সময়ে এসে কাজ করার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সংকট ও দূভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক সম্প্রকারনের কাজ করতে গিয়ে নিত্য যানযট, গাছপালা কেটে ফেলার ফলে ফুটপাত সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করতেও বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে বলে উখিয়া কলেজের অধ্যাপক তৌহিদুল আলম তৌহিদ জানান। তিনি বলেন, এ সড়কটি খুব দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা উচিত ছিল। যেহেতু এটি দেশের একটি গুরুত্বপুর্ণ সড়ক। এ ব্যাপারে আলাপ করা হলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আগামী বছরে জুন মাসে কাজ শেষ করার চুক্তি রয়েছে। তবে এর আগে সড়ক সম্প্রসারনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...

লাইসেন্সের কোন কাজ নেই, টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না!- উখিয়ার ব্যবসায়ী সাদ্দাম

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী ...