প্রকাশিত: ০৯/০৮/২০১৬ ৮:১৩ এএম

amonউখিয়া নিউজ ডটকম::

উখিয়ার উচুঁ আবাদী জমিতে পানির অভাবে আমনের চারা রোপন করতে পারছে না কৃষক। অনেকে আবার সেচ পাম্প বসিয়ে এসব জমি চাষাবাদ করার চেষ্টা করছে। কৃষকেরা আশায় বুক বেঁধে আমন চাষাবাদের প্রস্ততি নিলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া ও শ্রমিক সংকটের কারণে চলতি মৌসুমে আমন চাষাবাদে ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান কৃষকরা।

কৃষি কর্মকর্তা বলছেন,সময়মত বৃষ্টি হলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কোন কারণ ছিল না।

উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের টাইপালং পূর্ব দরগাহবিল,হাতিমোরা,চাকবৈঠা,ডিগলিয়া,গয়ালমারা, দোছরী,হাজিরপাড়া,খয়রাতি,হরিণমারা, আমিনপাড়া ঘুরে দেখা যায় পানির অভাবে বীজ তলা থেকে চারা উত্তোলন করতে পারছেনা কৃষক। চাষাবাদের প্রয়োজনীয় জমির পরিচর্যাসহ আনুসাঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও অনেকে পানির অভাবে চারা রোপন করতে পারছে না। কিছু কিছু জমিতে আমন চারা রোপন করা হলেও পানির অভাবে কৃষি জমিতে ফাটল ধরেছে।

স্থানীয় কৃষক আমির হামজা জানায়, আর কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে রোপিত আমন চারা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হাজির পাড়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান জানান,গভীর নলকূপ স্থাপন করে হলেও জমিতে চাষাবাদের প্রস্ততি নেওয়া হচ্ছে। খয়রাতি পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানায়,বীজতলায় পানি না থাকার কারণে চারা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। ফলে জমিতে চারা রোপন করার প্রবল ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক কৃষক জানান,সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শ্রমিকের অভাবে আমন চাষাবাদ সম্পন্ন করার কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা জানান, আগে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে চাষাবাদের কার্যক্রম করা সম্ভব ছিল। বর্তমানে জনপ্রতি ৫শ’ টাকা দিলেও রোহিঙ্গা শ্রমিক কাজ করতে আসছে না।
ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানায়,চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইউরিয়া সহ বিভিন্ন কীটনাশক ওষুধের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমন চাষাবাদের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নজরদারী করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অধিকাংশ উচুঁ জমিতে চাষাবাদ সম্পন্ন করা না গেলেও নিচু জমিতে ঠিক মত আমন চাষাবাদ চলছে। তিনি বলেন,প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবারও আমনের বাম্পার উৎপাদন হবে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...

লাইসেন্সের কোন কাজ নেই, টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না!- উখিয়ার ব্যবসায়ী সাদ্দাম

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী ...