প্রকাশিত: ০২/১২/২০১৯ ৮:২৬ পিএম

হুমায়ুন কবির জুশান ( উখিয়া কক্সবাজার )::

দিনবাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উখিয়ায় নাগরিক সমস্যা। উখিয়ায় রোহিঙ্গা আসায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের গতি বেড়েছে। কিন্তু কর্রতৃপক্ষের নজরদারীর অভাব আর নাগরিকদের অসচেতনতায় ক্রমেই ময়লার স্তূপ জমে উঠছে উখিয়ার আনাচে-কানাচে। উখিয়ার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে যেন কেউ নেই। বিশাল একটা নাগরিক অংশ উখিয়া উপজেলা গেইটের সামনে রাস্তার পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলায় পরিত্যক্ত নগরীতে পরিনত হচ্ছে। উখিয়া উপজেলার সাবেক ইউএনও মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে উখিয়া উপজেলা ব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলত। তিনি নিজেই ষ্ঠেশনের দোকানের সামনের ময়লা পরিস্কার করতেন। এ দৃশ্য দেখে দোকানদাররা স্ব-স্ব উদ্ব্যোগে তাদের সামনের জায়গা পরিস্কার রাখতেন। ইউএনও মাঈন উদ্দিন গাড়ি নিয়ে বের হলে দোকানদাররা ঝাড়ু নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। উখিয়ার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা ছিল ছকছকে পরিস্কার। রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ ছিল ছবির মতো সুন্দর। রোহিঙ্গাদের কারণে বদলে গেছে উখিয়া। গিছগিছ করছে মানুষের পদচারনায়। একদিকে যানজট, অন্যদিকে জনজট। সময়ের ব্যবধানে অর্রথনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি হারাতে বসেছে উখিয়ার সৌন্দর্রয। প্রশাসনের তদারকি ও উদারতা এবং জনগনের সচেতনতায় পারে একটি সুন্দর উখিয়া উপহার দিতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্রেযর লীলাভূমি উখিয়ার মুক্ত বাতাসে ঘুরে-বেড়ানো সেই শৈশবের স্মৃতি এখনো অম্লান হয়ে আছে অনেকের কাছে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতাও ছিল উখিয়ার আরেকটি বৈশিষ্ট্য। ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর ১২ লক্ষ রোহিঙ্গার ছাপ পড়েছে উখিয়ার ঘাডে। ফলে বন উজাড় ও পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ধুলোবালিতে উখিয়া হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য।  উখিয়া ডাক বাংলো সড়ক দিয়ে মহিলা কলেজের ছাত্রীদের যেতে হয় মুখে রোমাল দিয়ে। এই সড়কের পাশেও রয়েছে বিশাল ময়লার স্তূপ। পুরো উখিয়া ঘুরে পাওয়া চিত্রে দেখা যায়, সড়কের পাশে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ময়লার স্তূপ। ব্যবহারের পরই মানুষ উচ্ছিষ্ট ফেলে দিচ্ছে রাস্তার পাশেই। বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ময়লাও ভাড়াটিয়েরা ফেলছে রাস্তার ওপর। নাগরিকদের অসচেতনতায় এক সময়ের পরিচ্ছন্ন উখিয়া আজ অপরিচ্ছন্নতায় রুপ নিয়েছে।  পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন,  হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পরিকল্পনা ও তার সফল বাস্তবায়ন দরকার।  সবাই টাকার পিছনে ছুটছে। এ বিষয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। আগে যেখানে আমরা বুক ফুলিয়ে জামার বোতাম খুলে হাটতাম, সেখানে আজ আমাদের সন্তানরা নাকে রোমাল দিয়ে হাঁটছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে উখিয়াবাসীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। সবকিছু দেখভালের দায়িত্ব নাগরিক হিসেবে উখিয়াবাসীরও আছে। এটা পরিচ্ছন্ন রাখতে সবার আগে সচেতন হতে হবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, উখিয়ার আকাশে হাজার কোটি টাকা উড়ছে। কিন্তু ময়লা ফেলার কোনো ডাস্টবিন এখনো তৈরি হয়নি। রোহিঙ্গা শিবিরে কাজের জন্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষগুলো রাস্তা-ঘাট কিংবা ড্রেনে অবাধে ময়লা ফেলছে সেটা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।  উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশে এবং বঙ্গ-মাতা মুজিব মহিলা কলেজ যেতে রাস্তার ধারে ময়লার সয়লাব।  এটা জনপ্রতিনিধির চেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর আগে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।  সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুরো উখিয়া এখন অপরিচ্ছন্ন।  উখিয়াবাসী সচেতন না হলে এ অবস্থা থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই। না হয় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে যত্রতত্র ময়লা ফেলছে তাদের জেল-জরিমানা করে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...