প্রকাশিত: ১৯/০১/২০১৭ ৭:২১ পিএম , আপডেট: ১৯/০১/২০১৭ ৭:২৫ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে অসহায় ও কোনঠাসা হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। তথা কথিত ভুঁইফোড় মুক্তিযোদ্ধাদের দৌরাত্বে সংগঠনের অভ্যান্তরে নানা জটিলতা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উখিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তালিকাভুক্ত ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে শহীদ পরিবার সহ ৫ জন এখনও সরকারী সুযোগ সুবিধার আওতায় আসেনি। অথচ সিংহভাগ ভূঁয়া ও ভুইঁফোড় মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারী ভাতা গ্রহণ সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ আসছে।আগামী ২১ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করার কথা রয়েছে।এতে তদন্ত ও যাচাই- বাছাইয়ে ভুঁয়া ও ভুইঁফোড় মুক্তিযোদ্ধাদের অবিলম্বে তালিকা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোরদাবী ও সকল সুযোগ-সুবিধা স্থগিতের দাবী করেছেন এখানকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উখিয়া উপজেলা কমান্ডার পরিমল বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক পত্রে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলা মোট ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার রয়েছে। এসব মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিত সরকারী বেতন-ভাতা ও সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ আসছেন। উখিয়ায় ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে সিংহভাগ মুক্তিযোদ্ধার প্রকৃত পরিচয় নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চরম বির্তক ও কোন্দল রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার পরিমল বড়ুয়া উখিয়া নিউজ ডটকমকে বলেন, উখিয়ায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বির্তক ও বিরোধ দীর্ঘদিনের। ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২০০০ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২০০২ সালে ২ জন, ২০০৪ সালে ৩ জন, ২০০৫ সালে ২ জন, ২০০৬ সালে ৭ জন, ২০০৭ সালে ১ জন, ২০০৯ সালে ৫জন, ২০১০ সালে ৫ জন ও ২০১৩ সালে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়মিত ভাতা ও সরকারী সুযোগ সুবিধার অর্ন্তভুক্ত হন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রীপরিষদ সচিব শফিউল আলমের বড় ভাই শহীদ এটিএম জাফর আলম সহ ৫ টি পরিবার এখনো সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ১৯ জন ও ২০০৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় ৩১ জনসহ বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের আমলে এখানকার মুক্তিযুদ্ধের তালিকার কলবর বৃদ্ধি পায়। এসব মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রকৃত কত জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তা নিয়ে বির্তক থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমান তালিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধা চলাকালীন সময়ে উখিয়ার কোথাও কোন সম্মুখ যুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও বিচ্ছিন্ন ভাবে এখানকার আমরা ৭/৮ জন সহ রামু, ঈদগাও, টেকনাফ সহ বিভিন্ন এলাকার ৩৫/৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছিন্ন ভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের অপতৎপরতা প্রতিরোধে নানা কর্মসূচী পালন করে ছিলাম। মুক্তিযোদ্ধা চলাকালে যারা মুক্তিযোদ্ধের আশ-পাশে ছিল না এবং অনেকেই যুদ্ধা চালাকালীন সময়ে জন্ম গ্রহণ না করলেও তারা এখন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। অনেকের ছেলে মেয়েকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করেছে। আবার তাদের কারো কারো নামে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতকে উপেক্ষা করে কমান্ডার সহ কয়েকজন মিলে সরকারী পুনঃবাসন খাতের আওতায় পাঁকা বাড়ি পেয়েছে। যা খুবই উদ্বেগ ও দুঃখ জনক।
উখিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি গনমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম উখিয়া নিউজ ডটকমকে বলেন,আমার কাছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংসদের করা একটি তালিকা রয়েছে।তাতে উখিয়ায় ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্ত সে সময়ের অনেকের বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নেই। তাই তদন্তপূর্বক তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানান।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...