প্রকাশিত: ১৯/০৭/২০১৮ ৭:৪৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৩২ এএম

আবদুল্লাহ আল আজিজ,উখিয়া নিউজ ডটকম:
সদ্য ঘোষিত ফলাফলে উখিয়ার ২টি কলেজের পাশের চেয়ে ফেলের হার বেশি। সীমান্তের জনপদে গড়ে উঠা উখিয়া-টেকনাফের একমাত্র কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এন্ড কলেজ শতভাগ পাশ করেছে।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উখিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্টানের অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা জ্ঞান অর্জনের পিছুটান পরিলক্ষিত হওয়ায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ বলে বিভিন্নজনের ধারণা।

উখিয়া কলেজ ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১৮০ জন পরীক্ষার্থী। তৎমধ্যে পাশ করে ৫৭৪ জন। ফেল করে ৬০৬ জন।

উখিয়ার ৩টি মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২০৬ জন পরীক্ষার্থী। পাশ করে ১৯৫ জন। ফেল করে ১১জন।

উখিয়ার কারিগরি কলেজ নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল বিএম কলেজ থেকে অংশগ্রহণ করে ৬১ জন পরীক্ষার্থী। পাশ করে ৬১ জন। পাশের হার শতভাগ।

সংম্লিষ্ট কলেজ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, উখিয়া কলেজ থেকে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় পরীক্ষার্থী ছিল ৫৯৪ জন। তৎমধ্যে পাশ করে ২০৬ জন। ফেল করে ৩৮৮ জন। পাশের হার ৩৫%। ৩ বিভাগ থেকে কেউ জিপিএ ৫ পায়নি।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ থেকে ৫৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পাশ করে ৩৬৮ জন ও ফেল করে ২১৮ জন। পাশের হার ৬৩%। কেউ জিপিএ- ৫ পায়নি।

নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পাশের হার শতভাগ।

রাজাপালং মাদ্রাসা থেকে ১৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পাশ করে ১৩৭ জন। ফেল করে ৯জন। জিপিএ ৫ পায়নি কেউ। পাশের হার ৯৪%।

ফারিরবিল আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পাশ করে ২৮জন। ফেল করে ২জন। জিপিএ ৫ পায়নি কেউ। পাশের হার ৯৮%।

রুমখাঁপালং ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাশ করে।

ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে সচেতন অভিভাবকদের অভিমত,এলাকায় লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থী অবস্থান করার ফলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এনজিও সংস্থা উখিয়ার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের মাঝে অদ্যাবধি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এনজিওদের কাছ থেকে মাস শেষে ৩০-৪০হাজার থেকে শুরু করে ৫০-৬০হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন গ্রহণ করছেন। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার প্রতি অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে, চাকরীর কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের ফলে মারাত্মক ফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। এবং অভিভাবকরাও অর্থের লোভে পড়ে নিজ নিজ সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব থেকে সরে আসার কারণে ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে।

উখিয়া সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাঠে ডাব্লিউ এফপি কর্তৃক লজিস্টিক বেইস স্থাপনসহ বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষ দখল করে ত্রাণ সামগ্রী দীর্ঘদিন রাখার ফলেও গেল এইচএসসি শিক্ষার্থীদের যথাযথ পাঠদান দিতে না পারাও ফলাফল বিপর্যয়ের একটি কারণ বলে সচেতন অভিভাবকমহল মনে করেন।

পাঠকের মতামত