প্রকাশিত: ২৪/০৪/২০১৭ ৭:৪৩ এএম

উখিয়া প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বিতর্কিত গ্রাম পুলিশ আবু ছিদ্দিক (৩৫) গণধর্ষন মামলায় আটক হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। গত ০৯ এপ্রিল (রবিবার) রাতে উখিয়া থানা পুলিশ তাকে ডেইল পাড়া এলাকা থেকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে উক্ত চৌকিদার এবং তার ভগ্নিপতি মৃত লাল মিয়ার ছেলে হামিদুল হক ডেইলপাড়া এলাকার এক এতিম মহিলার বাড়ীতে ঢুকে উক্ত মহিলাকে গণধর্ষন করায় ধর্ষিতা মহিলা বাদী হয়ে চৌকদার সহ দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে গণ ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- জি আর ২৮৮ এবং উখিয়া থানার মামলা নং- ৩১ । এদিকে এলাকাবাসী জালিয়া পালং ৪নং ওয়ার্ডের উক্ত চৌকদারকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে একজন সৎ দক্ষ চৌকিদার নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানান।
অভিযোগে প্রকাশ, জালিয়াপালং ডেইলপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে চৌকিদার আবু ছিদ্দিক তার পার্শ্ববর্তী পাড়ালিয়া এক এতিম মহিলাকে অনৈতিক প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সে প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় উক্ত চৌকিদার এবং তার ভগ্নিপতি হামিদুল হক ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে এতিম মহিলার বাড়ীতে প্রবেশ করে মৃত্যুর ভয় দেখাইয়া এতিম মহিলাকে পালাক্রমে গণধর্ষন করে। এলাকার শত শত লোক অভিযোগ করে জানান, নারী লোভী ও লম্পট চরিত্রের অধিকারী, মানব পাচারকারী চৌকিদার আবু ছিদ্দিকের বিরুদ্দে এলাকার লোকজন গন স্বাক্ষর দিয়ে ইতিপূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কোন কাজ হয়নি। উক্ত কারনে সাধারন মানুষ ফুসে উঠে। এদিকে গণ ধর্ষনের শিকার এতিম মহিলা অভিযোগ করে জানান, একটি প্রভাবশালী মহল উক্ত চৌকিদারকে জেল হইতে জামিনে মুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চৌকিদারের আত্মীয় কহিনুর আক্তার, হাজেরা বেগম, কুলসুমা বেগম, মরিয়ম খাতুন গন তাকে প্রাণ নাশের চেষ্টা সহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অপতৎপরাতা চালাচ্ছেন।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...