প্রকাশিত: ২২/০৯/২০১৮ ৭:৫৭ এএম

নিউজ ডেস্ক::

উখিয়ার উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে থাইংখালী খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবন। উক্ত ভবনের কারণে বর্ষাকালে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানি চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উপর নির্মিত ব্রীজটি ধ্বসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে বিরাজ করছে প্রচন্ড ক্ষোভ ও উত্তেজনা। সহকারী কমিশনার ভুমি বলেলন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সরেজমিন ঘটনাস্থল থাইংখালী ষ্টেশন হয়ে তেলখোলা সড়কের শুরুতেই মহাসড়কের ব্রীজ ঘেষে খালের উপর এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ভবনের চারিপাশে পলিথিন দিয়ে আচ্ছাদিত করে রাখা হয়েছে। সেখানে অপেক্ষারত বেশ কয়েকজন টমটম চালক, জীপ চালক ও স্থানীয় গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানান, রহমতেরবিল গ্রামের বদরদৌজার ছেলে,চিহ্নিত ইয়াবা সম্রাট কলিমুল্লাহ প্রকাশ লাদেন ইয়াবার কালো টাকার পাহাড় ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে থাইংখালী খালের উপর বহুতল ভবনটি নির্মাণ করেছে। স্থানীয় ছিদ্দিক আহমদ নামের একজন সমাজ সেবক সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান, অবৈধ ভাবে খাল দখল করে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করার ফলে বর্ষার পানিচলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামীন সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ী ক্ষেত খামার ও ফসলি জমি। তিনি বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের থাইংখালীস্থ পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের ব্রীজটি যে কোন সময় ধ্বসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকায় বিষয়টি উপজেলা পরিষদে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল। এসময় তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খাল দখল করে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মান না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন। গ্রামবাসী জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা বদলী হয়ে যাওয়ার পরপরই কলিমুল্লাহ লাদেন শতশত শ্রমিক দিয়ে রাতদিন বিরতিহীন কাজ করে ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াবা সম্রাট লাদেনের অন্যতম সহযোগী জয়নাল উদ্দিন জানান, খালের পাশে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন। তার পরও কিভাবে ওই ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে এ নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক জানান, নির্মানাধীন ভবনটি খাস জমিতে পড়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে ভবন নির্মাণকারী কলিমুল্লাহ লাদেনের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে আজরাইল গ্রেফতার

কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। দীর্ঘ দুই দশক ...

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...