প্রকাশিত: ১৫/০৭/২০১৮ ৮:১৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৪২ এএম
ফাইল ছবি

উখিয়া নিউজ ডটকম::
রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার নারী-পুরুষ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে এনজিও কর্মী হিসেবে। অনেকেই এনজিও আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে সারা ক্যাম্প বিচরণ করলেও দেখার কেউ নেই। এ সুযোগের সৎ ব্যবহার একটি চক্র ইয়াবা পাচার করছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নামি-দামী গাড়ী। ইয়াবা চালান নিয়ে যাওয়ার সময় এমএসএফ হল্যান্ডের নামের ব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্স থেকে শিখা রানী ইয়াবাসহ মরিচ্যা বিজিবি’র হাতে ধৃত হওয়ার পর কিছু দিন এনজিও সংস্থার গাড়ীতে নিয়মিত তল্লাশী চালিয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর সলিডারটি ইন্টারন্যাশালের ড্রাইভার আবুল হোসেন ৩হাজার ইয়াবা সহ আটক হয় মরিচ্যা বিজিবি’র হাতে।

বর্তমান বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্টি অবস্থানের প্রেক্ষিতে আইনশৃংখলাবাহিনী রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকার সুযোগে ওই চক্রটি আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি উখিয়া থানা পুলিশ গোপন সুত্রের সংবাদের ভিত্তিতে একটি কক্সবাজারগামী বিলাস বহুল প্রাইভেট কারে সন্দেহজনক তল্লাশী চালিয়ে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ও সাইফুল ইসলাম নামের একব্যক্তিসহ ৪জন পাচারকারী চক্রকে আটক করেছে। তৎমধ্যে ৩জনের বাড়ী উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা এখানে এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ইয়াবা পাচার করে আসছিল। খোঁজ খরব নিয়ে জানা গেছে, ইতিপূর্বে এসিএফ ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি প্রেগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ দেবাশিষ চন্দ্র নাথ বিপূল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক হন। আরটিএম ইন্টারন্যাশনালের এনজিও সংস্থার ড্রাইভার বাদশা মিয়াকে ১৫ হাজার ইয়াবা সহ উখিয়া থানা পুলিশ আটক করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা পাচার নিয়ে একাধিক রোহিঙ্গা নেতারা জানান, যাদের সাথে মিয়ানমারে সখ্যতা ছিল বিজিপি ও রাখাইন ইয়াবা পাচারকারী চক্রের সাথে। তাদের হাত বেয়ে এখনো মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে। উক্ত রোহিঙ্গা পাচারকারী চক্রটি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে স্থায়ী ভাবে ক্যাম্পে অবস্থান নিয়ে ইয়াবা মজুদ করে যাচ্ছে।

গণসাস্থ্য নামে একটি এনজিও তে কর্মরত নারী আটক( ফাইল ছবি)

পরে সুযোগ বুঝে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দেয়। এভাবে ইয়াবা পাচার আগের চেয়ে আরো দ্বিগুণ বেড়েছে বলে দাবী করে ওই রোহিঙ্গা নেতারা আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে ও রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় নিয়োজিত থাকার কারনে ইয়াবা থেকে তাদের দৃষ্টি ভিন্ন পথে ধাবিত হয়েছে। যে কারনে ইয়াবা পাচারকারী চক্র পার পেয়ে যাচ্ছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন এনজিও কর্মী ছদ্মবেশে অচেনা অজানা পুরুষ মহিলারা বেপরোয়া হয়ে ইয়াবা পাচার করে আসছে। তাদের তল্লাশী চালানো হলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউনিয়নের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুকে সামনে রেখে যত্রতত্র এনজিও সংস্থা নামধারী বেশ কিছু চক্র ক্যাম্পে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ইয়াবা পাচার থেকে শুরু করে এমন কোন অনৈতিক কাজ নাই করছেনা। এদেরকে হাতে-নাতে ধৃত করা না হলে এসব এনজিও নামধারী টাউট বাটপার চক্র আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, বিপূল সংখ্যক রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ব্যস্ত থাকার সুযোগে পাচারকারী চক্র ইয়াবা সহ নানান অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার করছে। তবে মাঝে মধ্যে পুলিশ হানা দিয়ে ইয়াবা, মাদকদ্রব্য সহ পাচারকারীদের আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কক্সবাজারে ডিজিটাল ডিভাইসসহ ২ পরীক্ষার্থী আটক

কক্সবাজারের অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইসসহ বশির আহমদ এবং মোবাইল ফোনসহ তৌহিদুল ইসলাম ...

কক্সবাজারে আজরাইল গ্রেফতার

কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। দীর্ঘ দুই দশক ...