প্রকাশিত: ২৩/০৩/২০১৭ ৯:১৩ এএম , আপডেট: ২৩/০৩/২০১৭ ৯:১৩ এএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::

ফাইল ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্তের বালুখালী-ঘুমধুম করিডোরের কার্যক্রম চালু না থাকায় গবাদী পশু আমদানি খাতে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা কিছু কিছু গরু বিজিবি সদস্যরা আটক করে বালুখালী কাস্টম্স বিভাগে হস্থান্তর করলেও ফাঁকফোকর দিয়ে আসা অনেক পশুর চালান আটক হচ্ছেনা।

বালুখালী কাস্টম্স সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চোরাই পথে গবাদি পশুর চালান পাচার বন্ধ করতে ২০০৪ সালের দিকে বালুখালী-ঘুমধুম করিডোরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন তৎকালীন সরকার। এসময় বালুখালী কাস্টম্সের আওতায় আমদানিকৃত গবাদি পশু বাজারজাত হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তের ডেইলপাড়া, করই বনিয়া, রেজু আমতলী, তুমব্র“, ঘুমধুম, বালুখালীসহ ৬টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতি সপ্তাহে গবাদি পশুর চালান পাচার হয়ে আসছে। তুমব্র“ বিজিবি’র নায়েব সুবেদার আবু সায়েদ গরুর পাচার হয়ে আসার সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্থানীয় কতিপয় দালাল চক্র তাদের গৃহপালিত গরু হিসাবে দাবি উত্থাপন করায় অনেক ক্ষেত্রে চোরাই গরু আটকে আইনগত বাধ্যবাধকতা চলে আসায় ছেড়ে দিতে হয়।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ গরু পাচার হয়ে আসা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে গরু পাচার বেড়ে গেছে। সীমান্তের কতিপয় চক্র তাদের গৃহপালিত গরু দাবী করে এসব চোরাই গরু বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে।

বালুখালী কাস্টম্স ইন্সপেক্টর নুরুল মোস্তফা জানান, বালুখালী ঘুমধুম করিডোর এখনো রয়েছে। তবে কার্যক্রম চালু না থাকায় চোরাই পথে গরু আসছে। করিডোর দিয়ে গবাদি পশু আমদানি হলে সরকার একেকটি গরু থেকে ৫শ টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারত।

করিডোরের কার্যক্রম চালু না থাকার কারণে এসব রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় পূর্বের করিডোরের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য একটি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। তবে করিডোরের স্থান নির্ধারণের অপেক্ষায় কার্যক্রম স্চল হচ্ছে না।

পাঠকের মতামত