প্রকাশিত: ১২/০৭/২০২০ ৯:৪৬ পিএম , আপডেট: ১২/০৭/২০২০ ১০:০০ পিএম

ফারুক আহমদ, উখিয়া :
উখিয়ার বালুখালীতে এবার পাহাড় গিলে খাচ্ছে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিরা। সিন্ডিকেট গঠন করে দিন দুপুরে রীতিমত যেন পাহাড় কর্তনের মহোৎসব । প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পাহাড় খেকোরা প্রকাশ্যে সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগ সচেতন নাগরিক সমাজের ।
গ্রাম বাসীরা জানান, উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী লতিফুনেচ্ছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পাহাড় গুলোর উপর কু নজর পড়ে মাটি খোকো সিন্ডিকেটের। বহু মামলার আসামি ইয়াবা কারবারি ছৈয়দ নূরের নেতৃত্বে মাহমুদ হকের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট প্রশাসনের নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কর্তন মেতে উঠে। ডাম্পার ও মিনি ট্রাক যোগে বালুখালি সহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাটি বিক্রি করে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে।
স্থানীয়দের দাবি নির্বিচারে পাহাড় কর্তনের কারণে এলাকার ভারসাম্য নষ্টসহ পরিবেশের বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ।
এদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনকালে পাহাড় কর্তনের মহোৎসব দেখে পরিদর্শনে আশা কর্মকর্তারা হতবাক বনে যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান বাদী হয়ে উখিয়া থানায় পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৮ /২০২০ তাং ৭/৭/২০২০ ইংরেজি। পাহাড় কর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বালু খালীর বানু বাপের খিল গ্রামের মৃত নুর আহমদের পুত্র পুত্র সৈয়দ নূর ও রিদুয়ান সিদ্দিকী ও ইকবাল হোসাইন কে মামলায় আসামি করা হয়। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মর্জিনা আক্তার মর্জু মামলার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেন।

এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে সৈয়দ নূর ও মাহমুদুল হক সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে বালুখালীতে ইয়াবা ও মানব পাচারের পাশাপাশির,চাঁদাবাজি,পাহাড় কেটে মাটি বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে সখ্যতা রয়েছে এমন অভিযোগ সবার মুখে মুখে।

এক সময়ের গাড়ীর হেলপার ছৈয়দ নুরের বহু অপরাধের হাফ ডজন মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।

যার মধ্যে মহেশখালী থানায় এফআইআর নং-১০,তারিখ-০৮/০৮/২০১৪, জিআর ২০/১৫ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলার, এজাহারভুক্ত আসামী,উখিয়া থানার এফআইআর নং- ৩/২৩৪। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এফআইআর নং-২/৩৩,তারিখ-১২/০৫/২০১৭ ইং,জিআর ১৪৪/১৭, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী পিসিপিআর,উখিয়া থানার এফআইআর নং-২২,তারিখ-২১/০১/২০১৭ ইং,জিআর নং-২২/১৭,। পেনাল কোড-১৮৬০,উখিয়া থানার এফআইআর নং-৩১/১৪ ইংরেজি ।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা, বহু মামলার আসামি ও অপরাধ জগতের খলনায়ক সৈয়দ নূর কে গ্রেপ্তার করে ঘটে যাওয়া ঘটনা ও আসল রহস্য উদঘাটন করার দাবি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত