প্রকাশিত: ১৮/০১/২০১৭ ৪:২০ পিএম , আপডেট: ১৮/০১/২০১৭ ৪:২২ পিএম

বিশেষ প্রতিবেদক::
উখিয়া উপজেলার জনবহুল কোটবাজার ষ্টেশনে সরকারী অনুমোদনহীন ভাবে গড়া উঠা প্রাইভেট হাসপাতাল অরজিনে ভুল চিকিৎসায় একদিনে ৩ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর আত্বীয় স্বজন সহ সর্বত্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ১৭ জানুয়ারী কোটবাজারস্থ অরিজিন হাসপাতালে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটার পর থেকে মৃত ব্যাক্তির আত্বীয় স্বজনকে আর্থিক প্রলোভন,মিডিয়া,প্রসাশন সহ রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অরজিন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারী অনুমোদনহীনভাবে উখিয়া উপজেলার কোটবাজারস্থ অরিজিন হাসপাতাল নামে প্রাইভেট হাসপাতালটি গড়ে উঠে। এখানে রোগী সেবার নামে গলাকাটা বানিজ্য চালানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ২/১ জন ডাক্তার দিনে চেম্বারে রোগী দেখলেও নামমাত্র একজন হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত। গত মঙ্গলবার জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া গ্রামের নবী রহমানের ছেলে জাফর আলম (৪৫) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কোটবাজারস্থ অরিজিন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বিকাল ৫ টার দিকে। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সময় ক্ষেপন করে অবশেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাফর আলমের বুকের সমস্যা চিহ্নিত করে অরজিন হাসপাতালে আবাসিক ডাক্তার জিয়াউর রহমান চৌধুরী। এর কিছুক্ষণ পরই জাফর আলম অরিজিন হাসপাতালে মারা যায়। এ সময় জাফর আলমের স্ত্রী, পুত্র, ভাই-বোন ও আতœীয় স্বজনের আহাজারিতে কোটবাজারস্থ তোফাইল মার্কেটের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। এমন কি উচ্চ স্বরে তার স্ত্রী ছেলে মেয়েরা বিলাপ করতে থাকে। কোথায় চিকিৎসার জন্য তাদের পিতাকে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। একই দিন সকাল ৭ টা দিকে অরজিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৯ টির দিকে মারা যান চৌধুরী পাড়া গ্রামের জাফর আহামদ (৭০)। এছাড়াও একই দিন একই হাসপাতালে সকালে ১ জন ৪ মাস বয়সের শিশু ও মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও অরজিন হাসপাতাল কতৃপক্ষ ভুল চিকিৎসায় নয়, হার্টএ্যাটাক ও বয়স্ক জড়িত কারনে ২ জন রোগীর মৃতে্যুর কথা স্বীকা করেছে। লম্বরী পাড়া গ্রামের মৃত জাফরের পিতা নবী রহমান বলেন, ভুল চিকিৎসার কারণে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় জাফর মারা যাওয়ার পরপরই পুরো অরিজিন হাসপাতাল জুড়ে হইচই পড়ে যায়। ডাক্তার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মচারীরা দিক বেদিক পালাতে থাকে। খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ওসি মোঃ আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ভুল চিকিৎসায় একদিনে একাধিক রোগী মারা যাওয়ার সত্যতা পান। রহস্য জনক কারণে অনুমোদনবিহীন এ হাসপাতাল জব্দ কিংবা সীলগালা না করে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যান।পুলিশের এ ধরণের আচরণে অনেকেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অরজিন হাসপাতালটির অনুমোদনের ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মিজবাহ উদ্দিন আহম্মেদের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুনেছি তারা আবেদন করেছে অনুমোদনের জন্য,এখনো অনুমোদন পত্র আমার হাতে আসেনি। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোগীর কোন আত্বীয় স্বজন থানায় এ সংত্রুান্ত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...