প্রকাশিত: ২৮/০৫/২০২০ ১২:০৪ পিএম

জিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর মুসলমানদের আটক ও নির্যাতনের দায়ে চীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে একটি আইন পাস করেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।-খবর সিএনবিসি নিউজের

আইনটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৪১৩টি ও বিপক্ষে একটি। চলতি মাসের শুরুতে সর্বাত্মকভাবে আইনটি সিনেটে পাস হওয়ার পর তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তবে তিনি এই আইনে সই করবেন কিনা; তা এখনো পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পূর্বসতর্কতা হিসেবে অস্থায়ীভাবে বদলি ভোটের বিধান চালু করে প্রতিনিধি পরিষদ।

এমন এক সময় এই ভোটের আয়োজন করা হয়েছে, যার কয়েক ঘণ্টা আগে হংকংয়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের অভিযোগে বেইজিংয়ের সমালোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

তিনি বলেন, হংকংকে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে আর দেখছে না মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানকার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফের সমর্থন দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

চীন হুশিয়ারি করে দিয়ে বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে, তার জবাব দেয়া হবে। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে আনা উইঘুর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, সেখানে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

জিনজিয়াংয়ের ওই ক্যাম্পে ১০ লাখ উইঘুর, নৃতাত্ত্বিক কাজাখ ও সংখ্যালঘুদের আটক করে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার পাস হওয়া ওই আইনে উইঘুর নির্যাতনে দায়ীদের একটি তালিকা তৈরি করতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ১৮০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এরপর ওই কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবেন।

যদিও জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে ওই কর্মকর্তাদের যে কাউকে ছাড় দিতে পারবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

পাঠকের মতামত