প্রকাশিত: ২৬/০৭/২০২০ ৫:১২ পিএম

দীর্ঘ চার মাস কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় সেখানে প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা

ঈদুল আজহার পর কক্সবাজারের বন্ধ থাকা পর্যটনগুলো শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ চার মাস কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় সেখানে প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এসবের প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের পর্যটন সংক্রান্ত কার্যক্রম পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তে আশান্বিত হয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, “আগামী ঈদুল আজহার পর কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্য কঠিন শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হবে। আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট যে সকল প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকবে এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলবে শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানকে খোলার অনুমতি দেয়া হবে।”

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, গত ৪ মাস পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে আছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এতে ক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকা।

ঈদের পরে খুলে না দিলে সামনে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে মালিক সমিতির নেতা কাশেম বলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

2020/07/furniture0-ib-770-x-90-dt-1595563028354.gif

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর কক্সবাজারে পর্যটকদের আগমন বন্ধ করে দেয়া হয়।

গত চার মাস ধরে এই নির্দেশ বহাল থাকায় জেলার ৪৭০টি হোটেল-মোটেল, দুই হাজারের বেশি খাবারের দোকান, বার্মিজ মার্কেটসহ পর্যটন নির্ভর পাঁচ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন আবাসিক হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্টের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দেড় শতাধিক ট্যুর অপারেটরসহ দেড় লক্ষাধিক মানুষ। কোটি কোটি টাকার আবাসন প্রতিষ্ঠান নিয়ে চরম বেকায়দায় রয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, “দীর্ঘ ৪ মাস পর্যটন ব্যবসায়ীরা বেকার হয়ে চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন। করোনার কারণে এসব ব্যবসা ৪ মাসেরও অধিক সময় বন্ধ। ফলে তাদের ব্যবসার মূলধন খাওয়া শেষ।”

“এখন অধিকাংশ পর্যটন ব্যবসায়ী ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। কোরবানি ঈদের পর পর্যটন ব্যবসা খুলে দেয়া হলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা প্রাণে বাঁচবে। তারপরও সহজে এত ক্ষতি মেটানো সম্ভব নয়,” যোগ করেন তিনি। ইউএনবি

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...