বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সমস্যায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ প্রত্যেকের বাড়িতে পড়ার ব্যাপারে রায় দিয়েছে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও সিনিয়র শীর্ষ আলেমগণ। তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের প্রভাবশালী আরবি দৈনিক ওকাজ এবং ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেট।
সৌদি আরব গ্র্যান্ড মুফতি এবং সিনিয়র আলেমগণের কাউন্সিল প্রধান এবং বৈজ্ঞানিক পুনর্বিবেশন বিভাগ ইফতা’র প্রধান শেখ আবদুল আজিজ আল শেখ এ কথা জানিয়েছেন যে, ব্যতিক্রমী ও জরুরি পরিস্থিতিতে ঈদের নামাজ বাড়িতে পড়া জায়েজ।
কাউন্সিলের সদস্য শেখ আল-সুলাইমান, রাসূল (সাঃ) এর বিশিষ্ট সাহাবী আনাস বিন মালিকের উদাহরণ উদ্ধৃত করে বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালামের প্রিয় সাহাবী আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইরাকের বসরার নিকটবর্তী স্থান জাভিয়াতে তার বাসায় ছিলেন, তখন ঈদের জামাতের সময় শুরু হয় এবং নিকটবর্তী কোথাও নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত না হওয়ায় তিনি পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগী আবদুল্লাহ ইবনে আবী ওতবার সাথে সালাত আদায় করেছিলেন।
কিভাবে ঈদের নামাজ বাড়ির মধ্যে আদায় করতে হবে এ বিষয়ে শীর্ষ আলেমগণ বলেন,’নামাজ পড়তে সালাত শুরু করার জন্য তাকবীর পাঠ করবে এবং সূরা ফাতিহা উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করার আগে আরো ছয় তাকবীর সহকারে তা অনুসরণ করবে এবং তারপরে সূরা আল-কাফ পড়া উত্তম।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় রাকাতের শুরুতে তাকবীরের পরে পাঁচটি তাকবীর থাকবে আবার সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত শুরুর আগে এবং পরে নবী করীম( সাঃ)এর উদাহরণ অনুসরণ করে সূরা-কামার পড়বে। প্রতিটি রাকাতে যথাক্রমে সূরা আল-কাফ এবং আল-কামারের পরিবর্তে সূরা আ’লা ও আল-গাশিয়া পাঠ করা উত্তম।
ঈদের নামাজের সময় সূর্যোদয়ের পরে শুরু হয় এবং সবচেয়ে ভালো সময়টি হল এক বা দুটি বর্শার উচ্চতায় যখন সূর্য ওঠে। এর অর্থ সূর্যোদয়ের ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের পর ঈদের নামাজ পড়ার উপযুক্ত সময় বলে আলেমগণ মত দিয়েছেন। এটি যোহরের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সূর্য ওঠার মুহূর্তে ঈদের নামাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে শাফি, মালেকী এবং হাম্বলী মতবাদসহ বেশিরভাগ ইমামগণ সূর্যোদয়ের সময় নামাজ এর বিরোধিতা করেছিলেন কেবলমাত্র সূর্য উঠার পরে নামাজ পড়ার পক্ষে ছিলেন ঐ সমস্ত ইমামগণ।
এদিকে সৌদি সরকার ঈদের আগের দিন থেকে ৫ দিন পুরো সৌদি আরব জুড়ে ২৪ ঘন্টা কারফিউর ঘোষণা দিয়েছেন। সুত্র: চ্যানেল আই
পাঠকের মতামত