প্রকাশিত: ১৫/১০/২০২০ ৬:৫৭ পিএম , আপডেট: ১৫/১০/২০২০ ৭:০০ পিএম

নীতিশ বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের ঈদগাঁহ-ঈদগড় সড়কে অব্যাহত ডাকাতি, অপহরণসহ সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে সড়কের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে রামু সেনানিবাসের সদস্যরা রামুর বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে প্রশিক্ষনার্থে অবস্থান করেন। বিশেষ করে মায়ানমারের সীমান্তবর্তী হওয়ায় কক্সবাজার জেলার মানুষের নিরাপত্তা তথা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষায় সেনানিবাসের পরিধি বিভিন্ন স্থানে সম্প্রসারনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে এমপি কমলের প্রস্তাবনা হলো কক্সবাজারের ঈদগাঁহ-ঈদগড়-বাইশারী সড়কের মাঝামাঝি সদর উপজেলা ও রামু উপজেলার সীমান্ত এলাকায় সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষন অথবা যে কোন কাজে ব্যবহার্য্য হিসেবে ভূমি নির্বাচন ও উন্নয়ন করলে নি¤েœাক্ত সুবিধা সমুহ পাওয়া যাবে।
১৪ অক্টোবর রামু সেনানিবাসের জিওসি মাধ্যমে পাঠানো প্রস্তাবনা হলো- ১. যুদ্ধকালীন সময়ে রামু সেনানিবাস থেকে মায়ানমার সীমান্তে যাওয়ার মাত্র দুটি রাস্তার মধ্যে এটি একটি। সামরিক সরঞ্জামাদী আনায়ন ও ব্যবহারের জন্য এই রাস্তাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ২. জায়গাটি পাহাড় ও টিলা বেষ্টিত হওয়ায় সামরিক প্রশিক্ষনের জন্য যথোপযুক্ত। ৩. এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ২০ হাজারের অধিক মানুষের চলাচল। রাত ৮ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত এই রাস্তায় মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ। এখানে সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন ডাকাতি হয়। পুলিশের সীমিত সংখ্যক সদস্য দিয়ে এ বিশাল বনদস্যুর এলাকা পাহারা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি বছর শতাধিক মানুষ এখানে ডাকাতদের দ্বারা অপহরিত হয় অথবা নিহত হয়। গত ৮ অক্টোবর ২০২০ কিশোর গায়ক জনি দে ডাকাতের কবলে পড়ে নিহত হলে ঈদগড়ে একটি ১০ হাজারের অধিক মানুষের প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সেই সমাবেশে স্থানীয় নেতারা ওই এলাকায় একটি সামরিক প্রশিক্ষন এলাকা করলে বসবাসরত ৫০ হাজার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে দাবী রাখে। তাই জনস্বার্থে এই এলাকাটিকে সামরিক প্রশিক্ষন এলাকা হিসেবে নির্বাচন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানকে বিশেষ অনুরোধ করেন।
আবেদনে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র নির্বাচনী এলাকা ২৯৬, কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু) আসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে মানবিক সেবা প্রদান করেছেন তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধানসহ সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

পাঠকের মতামত