প্রকাশিত: ১২/০৩/২০১৯ ৭:৩৯ এএম

আবুল আলী, টেকনাফ::
মাদক ইয়াবার সঙ্গে জড়িত কেউই রেহায় পাবেনা। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে কোন পুলিশ সদস্যের সাক্ষাত থাকলে তাদের ছাড় দেয়া হবেনা। তাদের সঙ্গেও টিকই একজন আসামির মত আচরন করা হবে। এমনকি কোন পুলিশ সাধারন মানুষকে হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫ টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ষ্টেশনের হোটেল দ্বীপ প্লাজার সামনে পুলিশের উদ্যোগে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের সভাপত্বিতে অনুষ্টিত মাদক, জঙ্গি, দূর্ণীতি ও সন্ত্রাস বিরোধী সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন।

জনপ্রতিনিধিদের হুশিয়ারি দিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন বলেন, সীমান্তে যেসব এলাকায় ইয়াবার চালান ধরা পড়বে, সেই এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের দোষারুপ করা হবে। এখন থেকে ইয়াবা কারবারিদের তথ্য না দিলে জনপ্রতিনিধিদেরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনও যারা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের উদ্দ্যেশে বলছি, হয়তো আত্মসর্পণ করুন না হলে কেউ রেহাই পাবেন না।
মাসুদ হোসেন আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তা রয়েছে। তাই গুটি কয়েক মাদক ব্যবসায়ীর জন্য গুটা দেশের কোটি মানুষ ধ্বংস হতে পারেনা। ইয়াবার টাকা বানানো কোন সম্পদ কাউকে শান্তি এনে দিবেনা। শান্তিভাবে জীবন যাপন করতে চাইলে সময় থাকলে সরকারের কাছে আত্মসর্পন করেন। কেননা কোন মাদক ব্যবসায়ীকে সুষ্টভাবে এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না। হয় ইয়াবা ছাড়েন না হলে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হবে। ইতিমধ্যে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের সরকার সহতায় করছে, আপনাদেরও করা হবে। না হলে কেউ রেহাই পাবেন না।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জয়নাল আবেদিন, আল জামিয়া ইসলামিয় টেকনাফ মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি কিফায়েত উল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত এবিএমএস দোহা ও টেকনাফ পৌর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল্লাহ মনির প্রমূখ।সভা সঞ্চালনা করেন টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফী।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...