প্রকাশিত: ১৬/১০/২০১৭ ৮:২৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:১০ পিএম

এবার  ১৭৫ পিস ইয়াবা, একাধিক পাসপোর্ট, বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাদের নকল সীল, মোটরসাইকেল চুরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ শ্যামলী বেগম নামে এক মহিলা মেম্বারকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শ্যামলী ওই গ্রামের মুরাদ হোসেনের স্ত্রী ও বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ০১নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার।

সোমবার দুপুরে মহম্মদপুরের চাপাতলা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

মাগুরা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শ্যামলী বেগমকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১৭৫ পিস ইয়াবা, একাধিক পাসপোর্ট, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ওসি, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাদের ১৭টি নকল সীল ও মোটরসাইকেল চুরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

শ্যামলী ও তার স্বামী মুরাদ মিয়া মাদক ব্যবসা ও মোটরসাইকেল চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এছাড়া তারা বিভিন্ন জালিয়াতি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সোমবার সুকৌশলে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার সময় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে জনতা। উপজেলার বারোবাজার জননী আছিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

আটক গোলাম রসুল কালীগঞ্জ উপজেলার শিমলা রোকনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসমা নামে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী হারিয়ে যায়। গত চার বছর ধরে মেয়েটি ঢাকার মোহাম্মদপুরে ‘অপরাজিত বাংলাদেশ’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার শেল্টার হোমে ছিল। তার পিতার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন ছাড়া কিছুই বলতে পারে না।

মেয়েটিকে সঙ্গে করে শুক্রবার ওই সংস্থার কর্মকর্তা রাহেলা বেগমসহ কয়েকজন কালীগঞ্জে আসেন। এ নিয়ে শুক্রবার স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। তবে মেয়েটির সঠিক পরিচয় ও ঠিকানা জানতে ব্যর্থ হয় তারা।

এদিকে, রবিবার রাত ১২টার দিকে কালীগঞ্জের বারোবাজারে জামাত আলীর মালিকানাধীন জননী আছিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে সংস্থার কর্মকর্তা রাহেলা বেগমের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অবস্থায় চেয়ারম্যান গোলাম রসুলকে হাতে-নাতে আটক করে বাজারের ব্যবসায়ীরা।

পরে উত্তমমাধ্যম দিয়ে রাতেই ইউপি চেয়ারম্যানকে স্থানীয় বারোবাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোখলেছুর রহমান ও কালীগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীর হাতে তুলে দেয় জনতা।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, রাত ১১টার দিকে চেয়ারম্যান ও এনজিও কর্মকর্তা ক্লিনিকের একটি কক্ষে বসে গল্প করছিল। আপত্তিকর অবস্থায় থাকার অভিযোগে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রসুল এ ঘটনা সত্য নয় দাবি করে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন মনগড়া কথা বলছে।

পাঠকের মতামত