প্রকাশিত: ২০/০৪/২০১৯ ১০:০১ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
কক্সবাজারের ইয়াবা কারবারি মো. নুরুল আফসারের (২১) সাথে ফেসবুকে প্রেম হয় রামু সরকারি কলেজের ছাত্রী জমিলা আক্তার টুম্পার (২০)। এরপর প্রেমিকের দেখানো পথে ইয়াবা কারবারে নেমে পড়েন প্রেমিকা টুম্পাও।

একপর্যায়ে কারবারের প্রসার ঘটাতে তারা ইয়াবা পাচার শুরু করেন ঢাকাতেও। তাদের এই চক্রে রয়েছে সালমা আক্তার (২০) ও জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামক আরো এক ‘প্রেমিক জুটি’। আজ শনিবার এই দুই যুগল একই সাথে ইয়াবা পাচার করার সময় সীতাকুণ্ডের বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়লে চক্রটির সব তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়ে।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান হাবীব জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলপুর আমেরিকান এর বাড়ির সামনে বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে ঢাকামুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো ব- ১৫-১২৬৪) তল্লাশি চালালে দুই যুবক ও যুবতীর কাছে ২০০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আটককৃতরা হলো কক্সবাজারের গর্জনিয়া গ্রামের শফিউল আলমের মেয়ে জমিলা আক্তার টুম্পা (২১) ও তার প্রেমিক একই এলাকার দক্ষিণ বাংলা বাজার নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাহাবুদ্দিনের পুত্র নুরুল আফছার (২১), টুম্পার বান্ধবী টেকনাফ থানার মিনা বাজার (নূর কবির মেম্বর বাড়ির পার্শ্বে) গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের মেয়ে সালমা আক্তার (২০) ও তার প্রেমিক একই এলাকার মো. ফরিদুল আলমের পুত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৮)। এদের মধ্যে আফসার কক্সবাজার পলিটেকনিক কলেজের ষষ্ঠ বর্ষের ছাত্র।

ওসি আরো জানান, থানায় জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে পরস্পরের প্রেমিক-প্রেমিকা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবী বলে জানিয়েছে। তারা আরো জানান, এই দুই প্রেমিক যুগল দীর্ঘদিন ধরে একই সাথে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে আসছেন।

প্রত্যেকবার ইয়াবা পৌঁছে দেবার বিনিময়ে তারা জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে পান বলে জানান তারা। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

পাঠকের মতামত