প্রকাশিত: ০১/০৫/২০১৮ ১০:৫৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২৪ এএম

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার রাতে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় আজ নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই রাতটি অতিবাহিত করছেন।

 

মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানগণ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করবেন।

 

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

 

এই উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমানগণ কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকবেন। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা নফল রোজাও পালন করেছেন।

 

বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে-মসজিদে সারারাত চলবে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য এবাদত-বন্দেগী ও মোনাজাত। রাতব্যাপী এবাদত, বন্দেগী, জিকির ছাড়াও এই পবিত্র রাতে মুসলমানগণ মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করছেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতেও মুসল্লীদের উপচেপড়া ভীড়।

 

আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে এদিন অনেকের ঘরেই ভালো-ভালো খাবার-দাবার রান্না করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে রুটি, বিভিন্ন রুচির হালুয়া ও মিষ্টান্ন। বিকেলে প্রতিবেশিদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ ও পরিবেশন করা হয়। গরিব-দুঃখিদের মধ্যেও খাবার বিতরণ ও অর্থ দান করা হয়।

 

মহিমান্বিত এ রজনী ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আজ রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওয়াজ মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, হামদ্, না’ত, নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় এবং আখেরি মোনাজাত।

 

পবিত্র এ রাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদ সারা রাত খোলা থাকবে।

 

 

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।

 

পবিত্র শবে বরাত সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ঢাকা নগরীতে আতশবাজি, পটকা ফাটানো এবং যে কোন ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মোট্রাপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পাঠকের মতামত