প্রকাশিত: ১৯/০৪/২০১৮ ৭:২৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:০০ এএম

চ্যানেল আই : দাম নির্ধারিত না থাকায় মোবাইল ডেটা বিপণনের শুরু থেকেই অপরেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে নিজেদের ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে। একই পরিমাণ ডেটার দাম একেক অপারেটারে একেক রকম। শুধু তাই নয়, সেই ইন্টারনেট ব্যবহারের মেয়াদও ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু তা হবে কেন?

ইন্টারনেট ডেটার দাম নিয়ে বিতর্ক, আলোচনা বা সমালোচনা কম হয়নি। এখনও চলছে তা।

এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) একজন পরামর্শকের মাধ্যমে ইন্টারনেট ডেটার মূল্য বিষয়ে একটি কস্ট মডেলিং এরইমধ্যে শেষ করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

শুধু তাই নয়, ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে যেকোনো নম্বরে কল করার খরচ একই হারে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নিঃসন্দেহে দেশের মোবাইল গ্রাহকদের জন্য এটা বড় এক সুখবর।

মোবাইল প্রযুক্তির বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এরইমধ্যে আমাদের দেশের অপারেটরগুলো ফোর-জি যুগে প্রবেশ করেছে। প্রশ্ন থাকলেও এটা অস্বীকার করার উপায় নেই- মোবাইল সেবার মান বেড়েছে। বেড়েছে গ্রাহকও। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন সক্রিয় মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি। যাদের মধ্যে আবার প্রায় ৮ কোটি গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

আমরা জানি, সরকার নানাভাবে দেশের বিভিন্ন খাতকে ডিজিটালাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। জনগণ তার সুফলও ভোগ করছে। তবে ইন্টারনেট ডেটার দাম সাধারণ মানুষের আরও হাতের নাগালে না নেওয়া হলে অনেকেই সেই সুফল থেকে বঞ্চিত হবেন। এই অবস্থায় আমরাও মনে করি, ইন্টারনেট ডেটার দাম বেঁধে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী। যত দ্রুত সম্ভব এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হোক।

পাঠকের মতামত

তেল ছাড়ায় চলবে বাজাজ বাইক!

শীঘ্রই প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাজাজ। বাইকটি বাজারে আসলে তেল খরচ নিয়ে ...

টেলিটকের ৪৮ লক্ষ গ্রাহকের সমস্যা দূর করার জন্য যাদুকরি পদক্ষেপ : পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক বলেছেন, জীবন কানক্টেভিটি হবে বিটিসিএলর লাইফ ...