প্রকাশিত: ২৭/১২/২০২১ ২:৫১ পিএম , আপডেট: ২৭/১২/২০২১ ২:৫৩ পিএম

অন্তত উত্তরাঞ্চলীয় পতিতারা স্বীয় ভূমি ছেড়ে আর কক্সবাজারকে টার্গেট করবেনা, কারো জীবন বাঁচানো কিংবা ধ্বংস করার জন্য কেউ আর কক্সবাজারের হোটেল মোটেলের দ্বারে দ্বারে ঘুরবে না৷ বহু নাটকীয়তায় প্রভাবিত কিংবা বেজন্মা কতগুলো স্থানীয় কীটের সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় কিংবা তথাকথিত পর্যটক নিরাপত্তা প্রদানে জেলা প্রশাসনের ব্যর্থতার মুখোশও বারেবারে আর লোকসমাজে উন্মোচিত হবেনা, স্থানীয় চিহ্নিত বেজন্মারা আর তেমন পুনর্জন্মও নিতে পারবেনা৷

আমরাও চাই কক্সবাজার বয়কট করুন!
অন্তত কোনো এক আকস্মিক মানবতায় সোচ্চার হয়ে আশ্রয় দেয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে উত্তরাঞ্চলীয় নেতা এবং স্থানীয় কমান্ডার দালালের সংস্পর্শে পরিচালিত ইয়াবা ব্যবসা এবং হোটেল মোটেলে রাতের রাণী সাপ্লাই কিংবা পতিতাবৃত্তির উৎসব থেকে তো কক্সবাজার নামের জেলাটা অন্তত মুক্তি পাবে! দেশবিদেশ থেকে পরিচালিত এনজিও এবং জলপথে ও আকাশপথে বহরে বহরে ত্রাণ আসা বন্ধ হবে, কি সুন্দর বদলে যাবে বাংলাদেশ তাইনা? স্থানীয় ভোগান্তি এবং রোহিঙ্গাদের দ্বারা দূষিত কক্সবাজার আবারো ফিরবে সবুজ রঙে, এনজিওর টাকাপয়সায় ক’জন আর লোভে পড়ে চরিত্র খুইয়ে দিবে!

আমরাও চাই কক্সবাজার বয়কট করুন!
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভের কথা আর বিশ্বে শোভিত হবেনা কী হবে তাতে কক্সবাজারের! কক্সবাজারে সরকারের উন্নয়ন যথেষ্ট হয়েছে, কি নেই এতে এখন! স্থানীয়রা মিলে খোলা মুক্ত আকাশে ক’জনে কয়েক মাইল বীচ নিয়ে রাতের তারকার সাথে গল্পে গল্পে একাকিত্বের অবসান ঘটাবে! পাহাড়-পর্বত-সাগর কিংবা অপরূপ সব সৌন্দর্যের বিচ্ছুরণ ঘটবে প্রতিটি ঘরের উঠানে কিংবা মানুষের মনে! অনেক কথায় বলার ছিলো, দুনিয়াবি বয়স বাড়িয়ে সামনের দিকে এগুনোর লোভে মুখের ক্ষানিকটা অংশ ছেড়ে দিয়ে বাকিটা বন্ধ রাখলাম৷

নিরাপত্তা প্রদানে দেশের প্রশাসন কিংবা স্থানীয় সরকার যদি ব্যর্থ হয় এতে কক্সবাজারের কি! যেখানেই রয়েছে নিরাপত্তার অভাব, বয়কটই যদি হয় আপনাদের স্বভাব! কি দরকার আর এ দেশের বা দেশের প্রশাসনের?

তাই আমরাও চাই কক্সবাজার বয়কট করুন!
তবে হ্যা! কবি ফররুখ আহমেদের শিষ্য হিসেবে হাঁটু গেড়ে উত্তরাঞ্চলীয় বদ্ধঘরে বসে তখন কাউকে বলতে দেখা যাবে না তো “দেশের পর্যটন খাত_বাণিজ্যিক ভারসাম্য কিংবা দেশের অর্থনীতি লাটে ওঠার আর কতদেরি পাঞ্জেরি!”

মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ
ছাত্র, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

—————————————-

প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব উখিয়া নিউজ- এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য উখিয়া নিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...