প্রকাশিত: ১৬/১০/২০২১ ১:৫১ পিএম

অপরাধীদের প্রকাশ্যে শাস্তি না দিতে স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেই কেবল জনসমক্ষে শাস্তি দেয়া যাবে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বৃহস্পতিবার টুইটারে এসব বার্তা দেন বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মুজাহিদ বলেন, ‘দেশের মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনো ধরনের শাস্তি প্রকাশ্যে দেয়া যাবে না। অপরাধীদের শাস্তি কার্যক্রম প্রকাশ্যে প্রচারের কিছু নেই। তবে আদালত যদি অপরাধীদের প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে বলে, সে ক্ষেত্রে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে জনসমক্ষে মৃত্যুদণ্ড ও লাশ ঝুলিয়ে রাখা যাবে, অন্যথায় নয়।’

তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘অপরাধীকে দণ্ডিত করা হলে তার শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে। তাহলে মানুষ তার অপরাধ সম্পর্কে জানতে পারবে।’

2481.jpg
১৫ আগস্ট কাবুল পতনের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যায়। সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিজেদের শীর্ষস্থানীয় ৩৩ নেতাকে নিয়ে ইসলামিক আমিরাত গঠন করে তালেবান। ইসলামিক আমিরাতের মন্ত্রিসভার নাম দেয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।

গত মাসে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে কথিত চার অপহরণকারীকে হত্যা করে প্রকাশ্যে তাদের লাশ ঝুলিয়ে দেন তালেবান যোদ্ধারা।

ওই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। তালেবান তাদের আগের শাসনামলে ফিরে যাচ্ছে দেখে অধিকার সংগঠনসহ অনেকে উদ্বেগ জানায়।

গত মাসে তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লা নুরুদ্দিন তুরাবি বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, তালেবান সরকার ফের অপরাধীদের অঙ্গচ্ছেদ করতে পারে। প্রকাশ্যে এ শাস্তি কার্যকর নাও হতে পারে।

তুরাবির ওই বক্তব্যের পর অবশ্য আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে প্রকাশ্যেই লোকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

তালেবানের নব্বই দশকের শাসনামলে তুরাবি আফগানিস্তানের বিচারমন্ত্রী ছিলেন।

এদিকে শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেখ আব্দুল হাকিমকে নিয়োগ দিয়েছে তালেবান সরকার।

তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার বিশ্বস্ত সহযোগী ও পশতুন ধর্মীয় নেতা হাকিম এর আগে কাতারে গোষ্ঠীটির সমঝোতা দলের নেতৃত্বে ছিলেন

পাঠকের মতামত