প্রকাশিত: ৩০/১০/২০১৮ ৮:২০ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক:;
রোহিঙ্গা প্রত্যর্পণ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রম্নপের কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণ শুরম্ন করার জন্য সম্ভাব্য তারিখ চূড়ানত্ম হতে পারে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী। এছাড়া আগামীকাল বুধবার কক্সবাজারে ক্যাম্পে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন ওয়ার্কিং গ্রম্নপের কর্মকর্তারা।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আনত্মর্জাতিক চাপের মুখে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়। পরে গত ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস’াগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি স্বাড়্গরিত হয়। তবে এখন পর্যনত্ম প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেওয়ার সুনিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ বলছে, এখন পর্যনত্ম কোনও রোহিঙ্গাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার।
বৈঠকটির সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও মিনত্ম থু। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আজ মঙ্গলবারের বৈঠকের আগে গত রবিবার এক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার কী কী পদড়্গেপ নিয়েছে সেটাই বৈঠকে জানতে চাইবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের স’ায়ী প্রতিনিধি উ হাও দো সুয়ান বলেন, গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে চীনের উদ্যোগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের ফলই এই দ্বিপাড়্গিক বৈঠক।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার এখন নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রম্নতি দিচ্ছে।’
দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ইউ কো কো নায়েং বলেন, ‘দুই দিনের এই বৈঠকে প্রত্যাবাসনের তারিখ চূড়ানত্ম হতে পারে।’ তিনি দাবি করেন, জানুয়ারি থেকেই প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনের জন্য প্রস’ত মিয়ানমার।
মিয়ানমার সরকারের দাবি, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ৫০০ টি আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হয়েছে। পরিকল্পনায় রয়েছে আরও ১৫০০টি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বাংলাদেশের দেওয়া ৮ হাজার জনের তালিকা থেকে ৫ হাজারেরও বেশি জনকে তাদের নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

পাঠকের মতামত