প্রকাশিত: ০৮/০৮/২০১৮ ১০:৩৫ পিএম , আপডেট: ১৬/০৮/২০১৮ ১১:৩৮ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
আগামী ৮ থেকে ৯ বছরে দেশের সম্পূর্ণ গ্যাস শেষ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো ইতোমধ্যে হ্রাস পেয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এই সময় বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট ‘শেল তেল’ কোম্পানির কাছ থেকে ৪৫ লাখ পাউন্ডে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে স্মরণ করতে দিবসটি পালন করে জ্বালানি বিভাগ ও এর সহায়ক সংস্থাগুলো।

আগামীকাল জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র‌্যালি বের করা, জ্বালানির অর্থনৈতিক ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো, পেট্রোবাংলা আয়োজিত সেমিনার প্রভৃতি।

নসরুল হামিদ বলেন, একটি বা দুইটি গ্যাসক্ষেত্র ইতোমধ্যেই হ্রাস পেয়েছে এবং অন্যগুলো হ্রাস প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আগামী ৮-৯ বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত গ্যাসক্ষেত্র পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে যাবে। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের নতুন কোনো ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়নি। অনেক দেশে প্রাকৃতিকভাবেই এমনটি ঘটে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৩টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। যেগুলো প্রতিদিন তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে। প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি থাকে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন গ্যাস ক্ষেত্রে ১০৮টি কূপ খনন করার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত মাত্র আটটি কূপ খননের কাজ বিভিন্ন ঠিকাদারদের দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর ফলাফল খুব ইতিবাচক নয়, কারণ এই কূপগুলোর প্রত্যেকটি প্রতিদিন মাত্র ১৫-২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপন্ন করে, যা বেশি কার্যকর নয়।

তিনি বলেন, বাকি ১০০টি কূপ খনন করার পরিকল্পনা এখন পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে, কারণ ঠিকাদাররা ৩০ মিলিয়ন ডলার চাচ্ছে; যা ব্যয়বহুল।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজারের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নতুন নতুন ধারণা আসছে। সে জন্য আমাদের খুব সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার এখন জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য এলএনজি আমদানির চেষ্টা করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেবে এলএনজি। কিন্তু আমি আশা করি, জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেবে না, যা জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...