প্রকাশিত: ০৯/০৩/২০১৮ ৬:১৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৪০ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট;;
আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দিতে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে আসছে মিয়ানমার। গত ১০ দিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছে মিয়ানমার। সীমান্তে তারা বিভিন্ন ধরনের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

কখনো সীমান্তে কাঁটাতার ঘেঁষে সেনা টহল, কখনো বিপুল পরিমাণ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি মোতায়েন, আবার কখনো মিয়ানমারের নাটালা বাহিনী তুমব্রু সীমান্তে সশস্ত্র অবস্থান নিচ্ছে। মদ্যপ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের ঝুপড়িতে বিভিন্ন ধরনের বস্তু নিক্ষেপ করছে। তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ভয় প্রদর্শন করে সরিয়ে নিতেই মূলত এই আচরণ করছে তারা। মিয়ানমারের এই আচরণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উভয় সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তের শূন্যরেখার ওপারে সবসময় বিজিপি, সেনা ও নাটালা বাহিনীসহ রাখাইন যুবকরা ঘোরাঘুরি করে। রাতের বেলায় তারা মদ্যপ অবস্থায় সীমান্ত রেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ঝুপড়িতে বিভিন্ন ধরনের বস্তু নিক্ষেপ করে। যাতে রোহিঙ্গারা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শূন্যরেখা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের ঘন ঘন উপস্থিতি ও টহলের কারণে এপারের গ্রামগুলোতে বসবাসরত লোকজনকে আতঙ্কে থাকতে হয়।

তিনি আরো বলেন, তুমব্রু খালে এসময় প্রচুর শাক-সবজি ও বিভিন্ন ফল মূল উৎপাদন করতো স্থানীয়রা। কিন্তু মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির অপতৎপরতার কারণে চলতি মৌসুমে কিছুই করতে পারেনি।

শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গা নেতা আরিফউল্লাহ জানান, দিনের বেলায় মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি ও নাটালা বাহিনীর সদস্যরা সীমান্তের কাঁটাতার ঘেঁষে অবস্থান করে তাদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখাচ্ছে। রাতের বেলায় মিয়ানমারের যৌথ সশস্ত্র টহল কাঁটাতারের পাশে এসে তাদের দিকে বন্দুক তাক করে থাকে।

কোনারপাড়া জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা বেলাল জানান, মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা পাহাড়ের চূড়ায় নতুন করে বাঙ্কার খনন করেছে। ওই বাঙ্কার থেকে তাদের দিকে ভারি অস্ত্র তাক করে রেখেছে। নোম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে মিয়ানমার নতুন কোনো কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান খান জানিয়েছেন, সীমান্তে মিয়ানমারের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনসহ সার্বিক পরিস্থিতি তারা পর্যবেক্ষণ করছে। গত শুক্রবারের পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারকে সীমান্তে সেনা সমাবেশের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সুত্র: বিডিমর্নিং

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...