প্রকাশিত: ২১/০৯/২০১৭ ৭:২০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:১৪ পিএম

এম,এস রানা, উখিয়া::
মায়ানমার সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মুসলিম রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশ বিদেশের হাজার হাজার মানুষ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
অস্থায়ী ভাবে থাকার জন্য নির্মান সামগ্রী, নগদ টাকা আসবাবপত্র, নারী-পুরুষের কাপড়, ওষধ,স্যালাইন, খাদ্য সামগ্রী সহ সাধ্য অনুযায়ী নানা ত্রান ঐ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কাছে পৌছে দিয়ে এদেশের সাধারন মানুষ মানবতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা উখিয়া সফর করে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করার সময় তাদের দুঃখ্য দুর্দশা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। ঘর বাড়ি সহায় সম্বল ছেড়ে কোন মতে প্রান নিয়ে পালিয়ে আসা অসহায় মানুষে প্রতি তার মানবিক দৃষ্টির কারনে বিশ্বের বাংলাদেশ কে আবার মাথা উচু করে রাখলেন। ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে মানবতাকামী মানুষের কাছে। প্রমান করলেন তিনি মানবতার একজন অগ্রদুৎ।
মুসলিম এই জনগোষ্টির পাশে দাড়াতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে
প্রতিদিন শত শত ত্রানের গাড়ি আসছে
রোহিঙ্গাদের এ কঠিন সময়ে পাশে দাড়াচ্ছে। আদো কি ত্রান গুলো সদ্য প্রবেশ করা রোহিঙ্গারা পাচ্ছে?।
অভিযোগ উঠেছে উখিয়া টেকনাফে রোহিঙ্গাদের জন্য বিলি করা ত্রান সামগ্রীতে ভাগ বসাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্ধারা ও পুরাতন রোহিঙ্গারা।
উখিয়া টেকনাফ এলাকায় বর্তমান শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকার কিছু শকুন দৃষ্টির মানুষ তাদের নিত্যদিনের কাজ রেখে প্রতিদিন রোহিঙ্গা সেঁজে ক্যাম্প গুলো বসে থাকে ত্রান সংগ্রহ করার জন্য, এ ছাড়াও দীর্ঘ দিন যাবত এদেশের আনাে কানাচে ছিঠিয়ে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গা পরিবার গুলো ছুঠে যাচ্ছে মৃত্যুপথের যাত্রী অসহায়দের ত্রান লুট করতে। এদের মধ্যে অনেক পরিবার ক্যাম্পে অবস্থান করা শুরু করেছে তাছাড়াও কুতুপালং, নয়াপাড়া অবস্থান করা পুরাতন রোহিঙ্গারা বেশি ত্রান লোফে নিচ্ছে বলে জানা গেছে। পুর্বের কাজকর্ম রেখে ত্রানের ধান্ধায় ব্যস্ত থাকায় বর্তমানের এলাকাতে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। মালবাহী ত্রানের গাড়ি দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে স্থানীয় লুটেরা দল। ত্রান দাতাগন দেয়ার আগেই তারা গাড়িতে উঠে এক প্রকার লুট করে ত্রানের বস্তা নিয়ে যাচ্ছে তারা। অনেক সময় তাদের কাড়াকাড়ি শুরুর মধ্যদিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হতে দেখা গেছে। যার কারনে অনেক ত্রান দাতা বিরক্ত হয়ে তাদের ত্রান রাস্তায় ছুড়ে ফেলে চলে আসতে বাধ্য হয়।
সদ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা নতুন রোহিঙ্গাদের নিকট এদেশের প্রতি কোন ধারনা না থাকায় সহজে তারা ত্রানের গাড়ির কাছে যেতে না পারার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্ধা ও পুরাতনরা বেশি ত্রানের সুবিধা ভোগ করে আসছে। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের চেহেরা, শরীর গঠন মিল থাকায় এ সহজে ত্রান দাতাদের বিভ্রান্ত করে প্রতারনা ত্রান লুটে নিচ্ছে। তবে বর্তমানে সেনাবাহিনী ত্রান তৎপরতায় অংশগ্রহন করার ত্রান বিতরনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে সচেতন মহলের ধারনা। ত্রান বিতরনের সময় যাচাই বাছায় করে সঠিক রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরন করাই ত্রান বিতরনের সুফল বয়ে আনবে।

পাঠকের মতামত