প্রকাশিত: ২৩/১০/২০২১ ৯:৩১ এএম

মাহাবুবুর রহমান.
পাঁচ দিন ধরে অন্ধকারে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউট। এতে চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী সহ নার্সিং ইনস্টিটিউটের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। বৈদ্যতিক সট সার্কিটের কারনে পুরু ইনস্টিটিউটের এই পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। তবে এর আগে সট সার্কিটের ফলে কয়েকবার বিস্ফোরণ হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এতে অসুস্থ হয়ে ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালেও ভর্তি হয়। এদিকে অন্ধকার এবং ভুতুড়ে পরিবেশের কারনে নার্সিং ইনস্টিটিউট ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে সব শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী এরকম একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্টান বৈদ্যতিক কারনে ৪/৫ দিন অন্ধকার থাকে এটা জীবনের প্রথম দেখলাম।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে আসা এক অভিবাবক কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে দাড়ানো অবস্থা দেখে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখানে আমার মেয়ে নার্সিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছে,তবে এখানে কয়েক দিন ধরে বিদ্যূৎ না থাকায় মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাছাড়া ভুতুড়ে পরিবেশে মেয়ে থাকতে পারছে না। তাই আলীর জাহালএলাকায় এক আত্বীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। তিনি জানান,এর আগে এখানে বিদ্যূৎ সট সার্কিটে বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদের জানায়নি। বরং এখন আমরা মেয়ে অন্যত্র নিতে চাইলে ইনস্টিটিউটের প্রধান করোনা রানী উল্টো আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এখানে তাদের গোলাম হিসাবে থেকে যেতে হবে। মরে গেলে মনে হয় লাশ নিতে ডাকবে না। পরে মেয়ে সহ তারা চলে যায়। এর পরে শুক্রবার বিকালে খবর নিয়ে জানা গেছে নার্সিং ইনস্টিটিউটে খবর নিয়ে জানা গেছে,সেখানে থাকা ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ইতি মধ্যে প্রায় সবাই চলে গেছে। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতাল সহ নার্সিং ইনস্টিটিউটের কয়েকজন স্টাফও এখানে থাকতেন,তারাও অন্যত্র চলে গেছে। এ সময় সবর্ণা নামের একজন শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গত সোমবারে আমাদের ক্যাম্পাসে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। তখন আমার ভয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করেছিলাম। পরে কর্তৃপক্ষ আমাদের অভয় দিয়ে রুমে ঢুকিয়ে দিলেও পরে গভীর রাতে আবারো বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু আমাদের সুপার এসব নিয়ে কথা বলায় উল্টো আমাদের গালিগালাজ করেছে। আসলে এখানে না থাকলে কেউ বুঝতে পারবে না ভেতরের পরিবেশ কত খারাপ। কিন্তু কি করবো,ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সব নিরবে সহ্য করে যাচ্ছি। এখানে সুপার সহ অন্যান্য মেডামদের কিছু পছন্দের ছাত্রী আছে তারা যা বলে আমাদের তাই শুনতে হয়। কোন প্রতিবাদ করা যাবে না। কিছু বলা যাবে না। তবে এখন জীবন নিয়ে টানাটানি হয়েছে। পুরু ক্যাম্পাস অন্ধকার তাই সবাই হলছেলে চলে গেছে। এ ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নার্সিং ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন,এখানে দুই ধরনের বিষয় আছে,প্রথমটা হচ্ছে ২/৩ বছর আগে বিদ্যূৎ সরাঞ্জাম মেরামতের জন্য গণপূর্ত বিভাগ থেকে ২০ লাখ টাকার একটি বাজের এসেছিল। কিন্তু তখন সেই কাজে ঠিকাদারের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতের অমিল হওয়ায় বর্তমান সুপার করোনা রানী ব্যাপারী সেই কাজ করতে দেয় নি। সেখানে নানান অনিয়ম দূর্নীতিও ছিল। তবে নার্সিং ইনস্টিটিউটে কাজ না করলেও সদর হাসপাতালে ঠিকই সব কাজ করে বিল তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত করোনা রানী ব্যাপারের একগোয়ামির কারনে আজকে পুরু প্রতিষ্টান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিন্তু তার কোন কার্যকর ভুমিকা নেই। এখন পর্যন্ত সেই মহিলা একবার এসে ভাল করে কারো সাথে কথাও বলেনি বরং উপর মহল থেকে বিভিন্ন ভাবে কথা রটাচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের কথা না বলতে চাপ দিচ্ছে। এ ব্যপারে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের সুপার করোনা রানী ব্যাপারী বলেন,বিদ্যূৎ সট সার্কিটের কারনে সমস্যা হচ্ছে,শুক্রবার গণপূর্ত বিভাগ এবং বিদ্যূৎ বিভাগ থেকে লোকজন এসেছে তারা চেস্টা করছে দ্রæত সমস্যা সমাধান করতে।

পাঠকের মতামত