প্রকাশিত: ১৯/০৪/২০১৭ ৭:৪৮ এএম

মূলঃ খুশবন্ত সিং

অনুবাদঃ মোহাম্মদ শাহজাহান

 

 

[খুশবন্ত সিং ভারতের প্রথিতযশা উপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সাংবাদিক, কলামিষ্ট, আইনজীবী, কূটনীতিক ও রম্যলেখক ছিলেন। সব্যসাচী এই লেখক আমরণ লিখে গেছেন ইংরেজি ভাষায়। ভারতের আধুনিক এই বিশ্বখ্যাত লেখক ছিলেন কৌতুকপ্রিয়। তাঁর লেখা এই কৌতুকগুলো নিয়ে বেরিয়েছে বেশ ক’টি সংকলন। এরই মধ্য থেকে অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা নিচের কৌতুকগুলো সংগ্রহ করে পাঠক-পাঠিকার মনোরঞ্জনে ২য় কিস্তি বঙ্গানুবাদ করেছি অধম]

 

এক-রাজনীতিবিদঃ

 

এক লোক কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছে কোথাও। হঠাৎ একটা কবরের উপর নামফলকে চোখ পড়লো তার। নামফলকে লেখাঃ

-‘ এই কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত একজন সৎ মানুষ ও রাজনীতিবিদ।’

-ছি, ছি।  এক কবরে দুইজন!বিস্মিত কন্ঠে বলে উঠলো লোকটি।

 

দুই-ভবিষ্যত পরিকল্পনাঃ

 

বান্টা তার ছেলে গান্টাকে নিয়ে ছেলের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলো।

-মাস্টার  মশায়, আমার ছেলে গান্টা  বহু কিছু নিয়ে ভাবে।  কিন্তু কাজকর্ম কিছু  করে না। ভবিষ্যত কর্মজীবনে  সে কী করবে, বলুন তো?

-কেন, আপনার  ছেলেকে পরিকল্পনা কমিশনে  চাকুরির দরখাস্ত দিতে  বলবেন। মাস্টার মশায়ের  উত্তর।

 

 

তিন-মাছ শিকারঃ

 

সান্টা আর বান্টা নৌকা ভাড়া নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেল। বেশ কিছু মাছ ধরে তীরে ফিরে এলো তারা।

সান্টা- এই মাছগুলো নদীর যেখান থেকে ধরেছি, সে জায়গাটা তোর মনে থাকবে তো?

বান্টা-হ্যাঁ, হ্যাঁ। আমি জায়গাটা মনে রাখার জন্যে নৌকার এক পাশে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রেখেছি।

সান্টা- গাধা কোথাকার! ওই একই নৌকাই যে আগামীকাল পাবো, সে নিশ্চয়তা আছে?

 

চার-নানা, নাকি নানীঃ

 

সান্টার বড় মেয়েটার প্রসব বেদনা দেখা দিলো। খবর পেয়ে সে মেয়েকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলো। মেয়েকে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যাওয়া হলো।

এদিকে প্রচন্ড উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় হাসপাতালের বারান্দায় পায়চারি করতে লাগলো সান্টা। হঠাৎ নবজাতকের কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো তার কানে। মিনিট কয়েক পরে ডেলিভারি রুম থেকে একজন নার্স বেরিয়ে এলো।

সান্টা নার্সের কাছে ছুটে গিয়ে হিজ্ঞেস করলোঃ

-সিস্টার, আমি নানা, নাকি নানী হয়েছি?

 

পাঁচ-পছন্দ-অপছন্দঃ

 

এক যুবক এক যুবতীকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। কিন্তু যুবকের মা নারাজ। যুবক এ ব্যাপারে পরামর্শের জন্যে গেলো এক বন্ধুর কাছে।

  • চেহারায়, কথায় ও কাজে তোর মায়ের সঙ্গে মিল আছে, এমন কোন যুবতীকে খুঁজে বের কর। বন্ধুর পরামর্শ।

মাস কয়েক পরে দুই বন্ধুর মধ্যে দেখা আবারও।

  • চেহারায়, কথায় ও কাজে মায়ের মতো এক যুবতীকে খুঁজে পেয়েছি।
  • অভিনন্দন! বন্ধু বলে।
  • আরে, রাখ তোর অভিনন্দন। এবার তো মা রাজী হলেও বাবা নারাজ।

 

মোহাম্মদ শাহজাহানঃ এডভোকেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...