প্রকাশিত: ১৪/০৯/২০২১ ৩:৫৬ পিএম , আপডেট: ১৪/০৯/২০২১ ৪:০৬ পিএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া::
দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত রবিবার থেকে দেশের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলেছে। শ্রেণিকক্ষে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে অভিভাবকদের জটলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর মনে করছে, এভাবে জটলা থাকলে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এহসান উল্লাহ সিকদার বলেন, স্কুলের সামনে অভিভাবকদের জটলা করোনা সংক্রমণের বর্তমানের নিম্নমুখিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অভিভাবকদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। সংক্রমণের এই নিম্নমুখিতায় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। একে অপরকে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যেন কোন অবস্থাতেই সংক্রমণের আগের চেহারা ফিরে না আসে। উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিভাবকদের জটলা দেখে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি ও স্কুলে আসা যাওয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হলে নুরুল কবির মাহমুদ, শাহ আলম ও রবিউল ইসলাম বলেন, উখিয়া সদর ষ্ঠেশনে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে তাছাড়া বেপরোয়া গতিতে টমটম ও ইজিবাইক চালকদের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলা হয়েছে। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হয়। ছোট মানুষ একা পাঠাবো কী করে? তাই আমরা অভিভাবকরা সন্তানদের শ্রেণিকক্ষে দিয়ে এখানে স্কুলের সামনে অপেক্ষা করছি। পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, ব্যস্ততম এলাকা উখিয়া সদর. কোটবাজার, মরিচ্যা বাজার, কুতুপালং, বালুখাললী ও থাইংখালী ষ্ঠেশনের পাশেই রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যাললয় সমূহ। বিশ্বময় পরিচিত মানবতার শহর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এখানে বিভিন্ন এনজিও সেবা সংস্থা কাজ করে থাকেন। এই কক্সবাজার-টেকনাফ শহিদ জাফর আলম আরাকান সড়কের ওপর তরিতরকারি বিশেষ করে কুতুপালং বাজারে রাস্তার ওপর যেভাবে বেচা-কেনা হচ্ছে তাতে যানজট লেগেই থাকে। উখিয়ার মানুষ এখন সন্তানদের একা স্কুলে পাঠাতে ভয় পায়। আমাদের সময়ে যানজট ছিল না। মুক্ত বাতাসে গান গায়তে গায়তে বন্ধুদের সাথে স্কুলে যেতাম। আর এখনকার পরিবেশ ভিন্ন। তুলনামুলকভাবে আমরা স্বস্তিকর অবস্থায় ছিলাম। আগেকার সেই পরিবেশ এখন আর নেই। আমি আহবান জানাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে স্কুল চলাকালিন সময়ে ট্রাপিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হোক। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আদিবা বলেন, আমি আমার বাবার সাথে স্কুলে এসেছি। স্কুলে এসে আনন্দ লাগছে। তবে রাস্তা পারাপারে খুব ভয় লাগে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও উত্তীর্ণ!

কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ...

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি, টেকনাফে সর্বোচ্চ ৩১

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের ...

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী কারাগারে

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভুয়া সিল–স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তৈরির ...