প্রকাশিত: ১৫/০৯/২০২০ ৯:০১ পিএম

বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলা যেকোন সিদ্ধান্তে তাদের অংশগ্রহণ ও নিজেদের কথা বলার অধিকার দেয়া আবশ্যক। এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

“লেট আস স্পিক ফর আওয়ার রাইটস” শীর্ষক এই ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়,

সিদ্ধান্তগ্রহণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অংশগ্রহণ না থাকার কারণে তাদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিবের কার্যালয়ের পরিচালক ডেভিড গ্রিফিথস বলেছেন, ”দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। উচ্ছেদের তিন বছর পর এখনও তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তাদের অধিকারের কথাও তাদেরকে বলতে দেয়া হচ্ছে না।”

”বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছাড়া চলমান সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এখন তাদের মানবাধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব সহকারে পরিষ্কার একটি নীতিমালা প্রয়োজন।”

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও তাদের সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা ও একসাথে কাজ করার আহবান জানাচ্ছে।

ব্রিফিংএ বলা হয়, গত মে মাসে বাংলাদেশ সরকার ৩০০ এর অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে। এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি বালুচর, যার বাসযোগ্যতা নিয়ে জাতিসংঘ এখনও তার মূল্যায়ন জানানোর অপেক্ষায়।

পাঠকের মতামত

বিদেশে থাকা নাগরিকেরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

জান্তা শাসনামলে মিয়ানমারের যেসব নাগরিক দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যত্র চলে গেছেন, তাঁরা চাইলে আবার ...

মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চলমান ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ (টিপিএস) বাতিলের ...